London ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কালিয়াকৈরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরাতন সদস্য নবায়ণ ফরম বিতরণ উদ্বোধন সিরাজগঞ্জে আগুনে নিঃস্ব পরিবারের পাশে “গরিবের হাতেম তাই” মির্জা মোস্তফা জামান বিজয়নগরের পাহাড়পুর ইউপি’র চানপুর গ্রামে ছেলের কোপে বাবার হাত বিচ্ছিন্ন, আহত ৬জন রাজশাহীতে গাঁজা ও ইযাবা সহ মহিলা গ্রেপ্তার ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ০৩, শিশুসহ আহত ০৪ জন স্কটিশ পার্লামেন্ট‌ে একটি সর্বদলীয় ঈদুল আজহার অভ্যর্থনা অনু‌ষ্ঠিত বিজয়নগরে ‘ভিপি নূর মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর জমকালো ফাইনাল অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃদ্ধা ও তার ছেলেকে পিটিয়ে জখম। রাজশাহীতে বাথরুমে করোনা রোগীর মৃত্যু দুর্গাপুরে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ালো সেবা সংগঠন

সিরাজগঞ্জে আগুনে নিঃস্ব পরিবারের পাশে “গরিবের হাতেম তাই” মির্জা মোস্তফা জামান

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তা প্লাজার এক কনফেকশনারির কর্মচারী মোঃ জহুরুল ইসলাম সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গত ২০ জুন গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে তার বাসার তিনটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পুড়ে যায় নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। মুহূর্তেই ভেসে যায় সচ্ছলভাবে চলতে থাকা পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের সব স্বপ্ন ও সঞ্চয়।

মানবিক এই ঘটনার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও “গরিবের হাতেম তাই” নামে পরিচিত মির্জা মোস্তফা জামানের। ঘটনার ভয়াবহতা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দুর্দশার কথা শুনে (রবিবার ২২ জুন) বিকেলে জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হন।

তিনি শুধু খোঁজখবরই নেননি, বরং নিজস্ব অর্থায়নে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে। এসময় জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানরা আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা মহান আল্লাহর দরবারে মির্জা মোস্তফা জামানের দীর্ঘজীবন ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন।

জহুরুল ইসলামের ভাষায়, সব হারিয়ে এক মুহূর্তে পথে বসেছিলাম। “পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময়ে মির্জা মোস্তফা জামান স্যারের মত একজন মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এটা যেন আমাদের নতুন করে বাঁচার সাহস দিল।”

স্থানীয়রা জানান, মির্জা মোস্তফা জামান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং সমাজসেবায়ও তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস।

সিরাজগঞ্জের মানবিক মূল্যবোধ ও সহমর্মিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকল এই ঘটনাটি। সমাজে এমন উদার ও দায়িত্বশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ুক এটাই প্রত্যাশা সকলের।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাকিম সাজু। সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও তরুণ দলের সভাপতি সোহেল রানা হামিদ। শহর জাসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাওন সাবেক ছাত্রনেতা জাকির হোসেন সহ অন্যান্য বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
Translate »

সিরাজগঞ্জে আগুনে নিঃস্ব পরিবারের পাশে “গরিবের হাতেম তাই” মির্জা মোস্তফা জামান

আপডেট : ০১:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মুক্তা প্লাজার এক কনফেকশনারির কর্মচারী মোঃ জহুরুল ইসলাম সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গত ২০ জুন গভীর রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে তার বাসার তিনটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পুড়ে যায় নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার। মুহূর্তেই ভেসে যায় সচ্ছলভাবে চলতে থাকা পাঁচ সদস্যের একটি পরিবারের সব স্বপ্ন ও সঞ্চয়।

মানবিক এই ঘটনার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও “গরিবের হাতেম তাই” নামে পরিচিত মির্জা মোস্তফা জামানের। ঘটনার ভয়াবহতা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দুর্দশার কথা শুনে (রবিবার ২২ জুন) বিকেলে জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জহুরুল ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হন।

তিনি শুধু খোঁজখবরই নেননি, বরং নিজস্ব অর্থায়নে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে। এসময় জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানরা আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা মহান আল্লাহর দরবারে মির্জা মোস্তফা জামানের দীর্ঘজীবন ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন।

জহুরুল ইসলামের ভাষায়, সব হারিয়ে এক মুহূর্তে পথে বসেছিলাম। “পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময়ে মির্জা মোস্তফা জামান স্যারের মত একজন মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এটা যেন আমাদের নতুন করে বাঁচার সাহস দিল।”

স্থানীয়রা জানান, মির্জা মোস্তফা জামান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং সমাজসেবায়ও তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস।

সিরাজগঞ্জের মানবিক মূল্যবোধ ও সহমর্মিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকল এই ঘটনাটি। সমাজে এমন উদার ও দায়িত্বশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ুক এটাই প্রত্যাশা সকলের।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাকিম সাজু। সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও তরুণ দলের সভাপতি সোহেল রানা হামিদ। শহর জাসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাওন সাবেক ছাত্রনেতা জাকির হোসেন সহ অন্যান্য বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।