London ১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্চ কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামসুল আলমের হাতেসংগৃহীত

ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সাবেক হকি খেলোয়াড় মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদকে অপসারণের দাবি উঠেছে। আজ দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সাবেক কয়েকজন হকি খেলোয়াড় ও সংগঠক এই দাবি তোলেন।

পরে তাঁরা ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামসুল আলমের হাতে। আগামী সপ্তাহে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন তাঁরা। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম নারী টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বর্তমানে দুবাই সফর করছেন।  

‘সাবেক খেলোয়াড়–সংগঠক ও সমর্থকদের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাসেল খান বাপ্পি, শহিদুল্লাহ টিটু, মাকসুদ আলম হাবুল, তাবিব এ নূর। কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন হাজী হুমায়ুন। ৩০ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠনের ৩৪ দিন পর কেন ইমরোজকে অপসারণের দাবি, এমন প্রশ্নে হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাসেল খান বাপ্পি বলেন, ‘ইমরোজ সাহেব পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের লোক। হকির মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন কয়েকজনকে তিনি ডেকেছেন, যা আমাদের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে হয়েছে।’

সার্চ কমিটির সভায় আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন সাবেক হকি খেলোয়াড় মামুন উর রশীদ ও রফিকুল ইসলাম কামাল। ছিলেন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের কর্মকর্তা আলমগীর কবীর। মূলত তাঁদের উপস্থিতিই মানতে পারছে না এই পক্ষ। বর্তমান হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে পুস্কর খীসা মিমু, হকি খেলোয়াড় আবু সাইদ নিপ্পন, হাসান জুবায়ের নিয়লকে কেন ডাকা হয়েছে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাসেল খান।

আমন্ত্রণ পেয়েও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ হিসেবে মোহামেডানের হকি কর্মকর্তা ও হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক বলেছেন, ‘সেখানে সব আওয়ামী লীগারদের ডাকা হয়েছে।’

তবে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইমরোজ আহমেদ বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে। এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই। আমরা সবার মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কে কোন দল করে, সেটা দেখে তাকে ডাকা যাবে না, এটা তো ঠিক না। এখানে রাজনীতি মেশানো ঠিক নয়।’

কামাল, মামুনরা হকির সাবেক খেলোয়াড়। তাঁরা কোন দলের সমর্থক সেটা দেখে নয়, খেলোয়াড় হিসেবেই তাঁদের মতামত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে মেজর ইমরোজের সংযোজন, ‘এটা দুঃখজনক যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে। তাতে হকির কোনো লাভ হবে না। আর পরিষ্কারভাবে বলছি, কোনো দলের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে, কোনোটাই সঠিক নয়।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
৪৩
Translate »

সার্চ কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

আপডেট : ০২:৩৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামসুল আলমের হাতেসংগৃহীত

ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সাবেক হকি খেলোয়াড় মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদকে অপসারণের দাবি উঠেছে। আজ দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সাবেক কয়েকজন হকি খেলোয়াড় ও সংগঠক এই দাবি তোলেন।

পরে তাঁরা ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর লেখা স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামসুল আলমের হাতে। আগামী সপ্তাহে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন তাঁরা। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম নারী টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বর্তমানে দুবাই সফর করছেন।  

‘সাবেক খেলোয়াড়–সংগঠক ও সমর্থকদের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাসেল খান বাপ্পি, শহিদুল্লাহ টিটু, মাকসুদ আলম হাবুল, তাবিব এ নূর। কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন হাজী হুমায়ুন। ৩০ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠনের ৩৪ দিন পর কেন ইমরোজকে অপসারণের দাবি, এমন প্রশ্নে হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাসেল খান বাপ্পি বলেন, ‘ইমরোজ সাহেব পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের লোক। হকির মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন কয়েকজনকে তিনি ডেকেছেন, যা আমাদের কাছে পক্ষপাতমূলক মনে হয়েছে।’

সার্চ কমিটির সভায় আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন সাবেক হকি খেলোয়াড় মামুন উর রশীদ ও রফিকুল ইসলাম কামাল। ছিলেন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের কর্মকর্তা আলমগীর কবীর। মূলত তাঁদের উপস্থিতিই মানতে পারছে না এই পক্ষ। বর্তমান হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে পুস্কর খীসা মিমু, হকি খেলোয়াড় আবু সাইদ নিপ্পন, হাসান জুবায়ের নিয়লকে কেন ডাকা হয়েছে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাসেল খান।

আমন্ত্রণ পেয়েও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ হিসেবে মোহামেডানের হকি কর্মকর্তা ও হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক বলেছেন, ‘সেখানে সব আওয়ামী লীগারদের ডাকা হয়েছে।’

তবে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইমরোজ আহমেদ বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে। এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই। আমরা সবার মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কে কোন দল করে, সেটা দেখে তাকে ডাকা যাবে না, এটা তো ঠিক না। এখানে রাজনীতি মেশানো ঠিক নয়।’

কামাল, মামুনরা হকির সাবেক খেলোয়াড়। তাঁরা কোন দলের সমর্থক সেটা দেখে নয়, খেলোয়াড় হিসেবেই তাঁদের মতামত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে মেজর ইমরোজের সংযোজন, ‘এটা দুঃখজনক যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করছে। তাতে হকির কোনো লাভ হবে না। আর পরিষ্কারভাবে বলছি, কোনো দলের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে, কোনোটাই সঠিক নয়।’