সচিব কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব উঠছে সাড়ে ৫ হাজার পদের

প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থায় নতুন সাড়ে পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ সংক্রান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।
অন্তত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পদ সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির ১১তম বৈঠকে উত্থাপিত হবে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব-তিন হাজার ২২৫টি প্রস্তাব এসেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (এনবিআর) থেকে, যার মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুই হাজার ১২৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি হলো, ১৪টি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি, যেখানে সরকারের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এ বৈঠকে পদাধিকার বলে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, দপ্তর-সংস্থার নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্তকরণের অনুমোদন দেয় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই কমিটি। তবে যেসব সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলার বাধ্যবাধ্যকতা থাকে, সেগুলো এই কমিটি মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেয়।
প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকের এজেন্ডা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৪৫টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারিকৃত পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বে কর্মরত ৫৫টি পদে শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ৫৯টি, জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অন্যদিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা কৃষি অফিসের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নয়টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব এসেছে।
কমিটির বিবেচনার জন্য আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধনের প্রস্তাবও উঠতে যাচ্ছে।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২০ এপ্রিল জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে উল্লিখিত বিধিমালাটি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।