শেরপুরে সূর্যমুখী ফুল বাগানে ঢুকতে ৫০ টাকায় টিকেট বিক্র
শেরপুর জেলা শেরীব্রিজ সংলগ্ন মৃগী নদীর সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ছবি কিংবা সেলফি তুলতে প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছে। সদর উপজেলার লছনমন ইউনিয়নের কান্দাশেরী এলাকায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৯ জন উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন বাগানের মালিক। এই পরিবেশে সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা ৫০ টাকার টিকিটে তাদের এই বাগানটি দেখতে, ছবি ও সেলফি তুলার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছে।বিভিন্ন জেলার মানুষ সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এর আকর্ষণ ভাইরাল হয়ে গেছে সূর্যমুখী ফুলের বাগান আরো বৃদ্ধি পায় যার ফলে বাগান দেখতে শত শত ফুল ভিড় জমাচ্ছে। এই সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মালিক হায়দার আলী বলেন, আমরা নয়জন কৃষক মিলে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন অনেক লোকজন আসে। বাগানে ঘুরতে এসে ছবি তুলতে গিয়ে অনেকে ফুল ছিড়ে আবার কেউ কেউ গাছ ভেঙে ফেলে, এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বাগানের ফুল আর গাছ রক্ষা করার জন্য বাগানের ভিতরে কয়েকজন লোক রেখেছি। তাদের বেতন দিতে আর ক্ষতি পোষাতে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি আমরা লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ।
বাগান মালিক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে আমাদের অনেক লাভ হয়েছিলো। এবারও আমাদের এবছর আমরা নয়জন উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। আর আমাদের বাগানে সূর্যমুখী ফুলের সাথে সেলফি তুলতে অনেক লোকজন ছুটে আসছেন। আমরা এবছরও অনেক লাভবান হবো বলে আশা করছি। শেরপুরের মাটি সূর্যমুখী চাষের জন্য বেশ উপযোগী সূর্যমুখী চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তিন হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে। শেরপুর জেলা শেরি ব্রিজ সংলগ্ন সূর্যমুখী ফুলের বাগান হাজার হাজার মানুষের ডন ৫০ টাকা টিকেট করে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসছে।বিভিন্ন জেলার মানুষ সূর্যমুখী ফুল অনেক সুন্দর্য আকর্ষণ।