London ১১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি

সমশের মবিন চৌধুরীফাইল ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শমসের মবিনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শমসের মবিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সবশেষ গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

আজ রাতে মুঠোফোনে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাঁদের দুপুরে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাঁদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে বিমানবন্দরে গিয়ে ভিআইপি টার্মিনালে বসেছিলেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সেখানে বসার পর তাঁদের দুজনকে পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে বলা হয়। ফটোকপি দেওয়ার পর আর কারও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টাকে কল করলে তিনি এই বিষয় দেখেন না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানান। এরপর ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান।

পরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক পরিচালককে কল করেছেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন বলেছি আমার স্ত্রী একা যেতে পারলেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আমি দু–তিন দিন পরে যাব। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার ওই পরিচালক জানান, আপনার স্ত্রী যেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এরই মধ্যে বিমান চলে গেছে। আমার স্ত্রীও যেতে পারেননি।’

বিদেশ যেতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, এ জন্য ২০১০ সালে আদালত থেকে একটি আদেশ আছে জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, এরপরও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটি আদালত অবমাননা। আদালতের আদেশের কপি তিনি স্বরাষ্ট উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর না পেলে তিনি আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
২৩
Translate »

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি

আপডেট : ০৪:২৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সমশের মবিন চৌধুরীফাইল ছবি

শমসের মবিন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শমসের মবিনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শমসের মবিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সবশেষ গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

আজ রাতে মুঠোফোনে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাঁদের দুপুরে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টও নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাঁদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে বিমানবন্দরে গিয়ে ভিআইপি টার্মিনালে বসেছিলেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সেখানে বসার পর তাঁদের দুজনকে পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে বলা হয়। ফটোকপি দেওয়ার পর আর কারও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টাকে কল করলে তিনি এই বিষয় দেখেন না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানান। এরপর ইমিগ্রেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান।

পরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক পরিচালককে কল করেছেন জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন বলেছি আমার স্ত্রী একা যেতে পারলেও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আমি দু–তিন দিন পরে যাব। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার ওই পরিচালক জানান, আপনার স্ত্রী যেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এরই মধ্যে বিমান চলে গেছে। আমার স্ত্রীও যেতে পারেননি।’

বিদেশ যেতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়, এ জন্য ২০১০ সালে আদালত থেকে একটি আদেশ আছে জানিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, এরপরও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটি আদালত অবমাননা। আদালতের আদেশের কপি তিনি স্বরাষ্ট উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর না পেলে তিনি আদালত অবমাননার মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।