London ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে আমাদের এখনো অনেক দূর এগোতে হবে: তারেক রহমান

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনো অনেক দূর এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনো গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা এ ধরনের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ, যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি ও গণতন্ত্রে উৎসাহিত করতে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ পালন করে আসছে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, গণ–আকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বারবার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকেরা বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপরে গত জুলাই মাসে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

তারেক রহমান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। ইনশা আল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫২
Translate »

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে আমাদের এখনো অনেক দূর এগোতে হবে: তারেক রহমান

আপডেট : ০৫:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনো অনেক দূর এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনো গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা এ ধরনের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ, যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি ও গণতন্ত্রে উৎসাহিত করতে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ পালন করে আসছে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, গণ–আকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বারবার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকেরা বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপরে গত জুলাই মাসে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

তারেক রহমান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সকল মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। ইনশা আল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।