London ১২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

অনলাইন ডেস্ক:

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের স‌ঙ্গে আলোচনায় শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে এবং বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে।

শুক্রবার ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, আমি আরেকটি পয়েন্ট বলেছি যে, দুপক্ষের মধ্যে যতটা তফাত বলা হয়, সেটি ততটা নয়। কারণ সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি।

উপদেষ্টা ব‌লেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তভাবে জানানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফেরত আসবে না।

তি‌নি ব‌লেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

 

মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও শান্তি আসবে না। এটি আমি শক্তভাবে বলেছি। আমি এটাও বলেছি যে, আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি। সত্যিকার অর্থে আমরা এখন নতুন প্রতিবেশীর মুখোমুখি; যারা আবার নন-স্টেট অ্যাক্টর। কাজেই তাদের সঙ্গে আমরা না পারছি সরাসরি আচরণ করতে, না পারছি উপেক্ষা করতে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি।

উপদেষ্টা ব‌লেন, আমি বলেছি যে, হয়ত একটা সময় সমস্যাটি থিতিয়ে আসবে এবং সমাধানের দিকে যাবে। তখন যারা আমাদের বন্ধু ও শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে, তাদের সেখানে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যেন সেখানে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে বিবেচনা করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

আপডেট : ০১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌ‌হিদ হোসেন বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের স‌ঙ্গে আলোচনায় শুল্কের প্রসঙ্গ এসেছে এবং বলেছি, আমরা চেষ্টা করছি বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে।

শুক্রবার ফরেন সার্ভিস দিবস উপলক্ষ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

তৌ‌হিদ হো‌সেন ব‌লেন, আমি আরেকটি পয়েন্ট বলেছি যে, দুপক্ষের মধ্যে যতটা তফাত বলা হয়, সেটি ততটা নয়। কারণ সেবা খাতে আমরা প্রচুর আমদানি করি।

উপদেষ্টা ব‌লেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তভাবে জানানো হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি ফেরত আসবে না।

তি‌নি ব‌লেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়া যাচ্ছে না। আবার তাদের এড়িয়েও এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

 

মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও শান্তি আসবে না। এটি আমি শক্তভাবে বলেছি। আমি এটাও বলেছি যে, আমরা এখন একটি নতুন বাস্তবতায় আছি। সত্যিকার অর্থে আমরা এখন নতুন প্রতিবেশীর মুখোমুখি; যারা আবার নন-স্টেট অ্যাক্টর। কাজেই তাদের সঙ্গে আমরা না পারছি সরাসরি আচরণ করতে, না পারছি উপেক্ষা করতে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি।

উপদেষ্টা ব‌লেন, আমি বলেছি যে, হয়ত একটা সময় সমস্যাটি থিতিয়ে আসবে এবং সমাধানের দিকে যাবে। তখন যারা আমাদের বন্ধু ও শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে, তাদের সেখানে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যেন সেখানে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা রোহিঙ্গাদের মানবিকভাবে বিবেচনা করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়।