London ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ: আগামীর উন্নত জাতি গঠনের রূপরেখা নাটোর বিএনপির প্রার্থী ও ভোটের রাজনীতি রাজশাহীতে হত্যা মামলার মুল আসামি গ্রেপ্তার অবহেলিত জনগণের সেবা করতে চাই — সাটিয়াজুরীতে আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল কালিয়াকৈরে মিথ্যা-ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার প্রতিবাদে সাবেক মেয়রের সংবাদ সম্মেলন কসবায় অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন (সি.টি.এল.) এর ২৪৭তম আর্থিক ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পন্ন দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী উৎসব অনুষ্ঠিত ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরহি নিহত কালিয়াকৈরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ বা পদত্যাগের পক্ষে ইতিমধ্যেই অবস্থান প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও দলটি আগের অবস্থানই প্রকাশ করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করে তাঁর শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহসহ পাঁচজন পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির প্রসঙ্গ ছাড়াও সংবিধান সংস্কারসহ আরও কিছু বিষয়ে কথা বলেন ছাত্রনেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংবিধানের পুরো সংশোধন চায় না। তারা বলেছে, ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থে সংবিধানের অনেক সংশোধনী এনেছে। সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, এই সংশোধনীর কোনোটিই জাতীয় স্বার্থে করা হয়নি। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি অবৈধ নির্বাচন বাতিল করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণে কোনো সাংবিধানিক জটিলতার বিষয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পালিয়ে যাওয়াতে কী কোনো সংকট হয়েছে? আর বর্তমান রাষ্ট্রপতি তো পলাতক প্রধানমন্ত্রীরই নিয়োগ করা। বরং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান অস্পষ্ট বলে মনে করেন গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বিএনপির তিন নেতা বলেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান না। অথচ, দলের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
৯৩
Translate »

রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন

আপডেট : ১২:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ বা পদত্যাগের পক্ষে ইতিমধ্যেই অবস্থান প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ শনিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও দলটি আগের অবস্থানই প্রকাশ করেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, পতিত প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করে তাঁর শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহসহ পাঁচজন পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির প্রসঙ্গ ছাড়াও সংবিধান সংস্কারসহ আরও কিছু বিষয়ে কথা বলেন ছাত্রনেতারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংবিধানের পুরো সংশোধন চায় না। তারা বলেছে, ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয় স্বার্থে সংবিধানের অনেক সংশোধনী এনেছে। সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, এই সংশোধনীর কোনোটিই জাতীয় স্বার্থে করা হয়নি। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি অবৈধ নির্বাচন বাতিল করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা অপসারণে কোনো সাংবিধানিক জটিলতার বিষয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পালিয়ে যাওয়াতে কী কোনো সংকট হয়েছে? আর বর্তমান রাষ্ট্রপতি তো পলাতক প্রধানমন্ত্রীরই নিয়োগ করা। বরং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান অস্পষ্ট বলে মনে করেন গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বিএনপির তিন নেতা বলেছেন, তাঁরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চান না। অথচ, দলের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, তিনি এ পদে থাকতে পারেন না।