রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মোড়
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি বিপজ্জনক নতুন মোড় নিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
ন্যাটো এবং দক্ষিণ কোরিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা শিগগিরই মস্কোর পক্ষে সম্মুখ সারিতে লড়াইয়ে যোগ দিতে পারে।ন্যাটো সোমবার জানিয়েছে, হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা সামনের সারির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার এই অংশগ্রহণ কিয়েভকে শঙ্কিত করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটি জানিয়েছে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কেবল নিষেধাজ্ঞা যথেষ্ঠ নয়। উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধ তেকে দূরে রাখার জন্য আরও অস্ত্র এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা প্রয়োজন।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই মঙ্গলবার মস্কো যাওয়ার পথে রাশিয়ার সুদূর পূর্বে পৌঁছেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় সফরে এসে মস্কোতে চোয়ে সনের সঙ্গে কার দেখা হবে তা স্পষ্ট নয়।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা করার কোনও পরিকল্পনা নেই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপগুলো যুদ্ধকে একটি নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি এক্সে লিখেছেন, “উপসংহারটি পরিষ্কার- এই যুদ্ধটি আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে, দুটি দেশের বাইরেও প্রসারিত হচ্ছে।”
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিলে তারা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর সোমবারও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধে প্রবেশ করলে ইউক্রেনের মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের উপর নতুন সীমা আরোপ করবে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশে উত্তর কোরিয়ার সেনা উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেননি।
উত্তর কোরিয়ার সেনারা কী ভূমিকা নিতে পারে তা স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, তাদের স্বল্প সংখ্যা এবং সম্ভবত সীমিত ক্ষমতা যুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা কম। তবে তারা কায়িক শ্রম বা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানের ব্যবস্থা করে রুশ বাহিনীকে এগিয়ে নিতে পারে। সূত্র: রয়টার্স, এপি