London ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেই পুলিশের নজরদারী

রাজধানীর শ্যামলীতি আদাবর থানাধীন আবাসিক হোটেলগুলোতে নারী-মাদক সিন্ডিকেটরা বেপারোয়া!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীতে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে। কারন আবাসিক হোটেলের অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা শ্যামলীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। পুলিশের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তেজগাঁও বিভাগের আদাবর থানাধীন হোটেল হোটেল পদ্মা, হোটেল স্কাই টাচ ইন, হোটেল হানিফ, হোটেল প্যারিট, হোটেল সুরমা, হোটেল গ্রিন ভিউ, হোটেল উত্তরবঙ্গ, হোটেল রাজ্জাক ইনসহ একাধিক অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেলে যথারিতি চলছে নারী ও মাদক বাণিজ্যর মত ভয়াবহ কারবার। তবে মাঝেমধ্যে পুলিশের অভিযান থাকলেও ঘুষ বাণিজ্যে আবার সব ঠিকঠাক চলে। হোটেলগুলোর বাইরে সাইনবোর্ড থাকলেও ভিতরে এর চিত্র যেন অণ্যরকম। শুধু তাই নয় এরা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনেও কম নয়।
এদিকে এর আগেও এসব হোটেলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদক তাদের হুমকির মূখে পরতে হয়। তারা বলেন, পুলিশ সাংবাদিক গোনার সময় নেই। আমরা অনেক পুরোনো ব্যবসায়ী। এসব কাজ বহুদিন ধরেই চলছে। পারলে আপনার কিছু কইরেন। আরো জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই মালিকানাধীন রয়েছে একাধিক অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব বিষয়ে তদন্ত গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট প্রমানিত রয়েছে। তারা আরো বলেন, পুলিশ কয়দিন আমাদের রেড করবে, সময় হলে সবাই ম্যানেজ হবে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনকি ফ্ল্যাট বাসায় সুন্দরী নারীদের সংরক্ষন রেখে সুযোগ সুবিধা বুঝে তাদেরকে দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবসা করিয়ে থাকেন। আর এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে কেউ মাসোহারা নিতে। আমরা এই এলাকার অনেক কিছু। কিন্তু এসব বিল্ডিং ভাড়া কিংবা নিজস্ব মালিকানায় নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও নারী বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে বর্তমান পুলিশ কিছুই জানেন না। এসব হোটেলের নেই কোন বৈধতা। যদিও আবাসিক হোটেল পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কখা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। শুধুমাত্র সাইনবোর্ড ব্যবহার করার জণ্য সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে অবৈধ হোটেল ব্যবসা।
অণ্যদিতে এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা। তবে হোটেল মালিকরা জানান, আমরা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করে থাকি।
এবিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমারা অভিযোগের ভিক্তিতে উক্ত হোটেলটিতে অভিযান চালাই এবং নারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের প্রায়ই গ্রেফতার করে থাকি। এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে এসব ব্যবসায়ীরা যত বড় শক্তিশালী হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা এবং আমার এলাকায় এসব চলবেনা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৭
Translate »

নেই পুলিশের নজরদারী

রাজধানীর শ্যামলীতি আদাবর থানাধীন আবাসিক হোটেলগুলোতে নারী-মাদক সিন্ডিকেটরা বেপারোয়া!

আপডেট : ০১:২০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে। কারন আবাসিক হোটেলের অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা শ্যামলীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। পুলিশের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তেজগাঁও বিভাগের আদাবর থানাধীন হোটেল হোটেল পদ্মা, হোটেল স্কাই টাচ ইন, হোটেল হানিফ, হোটেল প্যারিট, হোটেল সুরমা, হোটেল গ্রিন ভিউ, হোটেল উত্তরবঙ্গ, হোটেল রাজ্জাক ইনসহ একাধিক অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেলে যথারিতি চলছে নারী ও মাদক বাণিজ্যর মত ভয়াবহ কারবার। তবে মাঝেমধ্যে পুলিশের অভিযান থাকলেও ঘুষ বাণিজ্যে আবার সব ঠিকঠাক চলে। হোটেলগুলোর বাইরে সাইনবোর্ড থাকলেও ভিতরে এর চিত্র যেন অণ্যরকম। শুধু তাই নয় এরা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনেও কম নয়।
এদিকে এর আগেও এসব হোটেলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদক তাদের হুমকির মূখে পরতে হয়। তারা বলেন, পুলিশ সাংবাদিক গোনার সময় নেই। আমরা অনেক পুরোনো ব্যবসায়ী। এসব কাজ বহুদিন ধরেই চলছে। পারলে আপনার কিছু কইরেন। আরো জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একই মালিকানাধীন রয়েছে একাধিক অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব বিষয়ে তদন্ত গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট প্রমানিত রয়েছে। তারা আরো বলেন, পুলিশ কয়দিন আমাদের রেড করবে, সময় হলে সবাই ম্যানেজ হবে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনকি ফ্ল্যাট বাসায় সুন্দরী নারীদের সংরক্ষন রেখে সুযোগ সুবিধা বুঝে তাদেরকে দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবসা করিয়ে থাকেন। আর এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে কেউ মাসোহারা নিতে। আমরা এই এলাকার অনেক কিছু। কিন্তু এসব বিল্ডিং ভাড়া কিংবা নিজস্ব মালিকানায় নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও নারী বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে বর্তমান পুলিশ কিছুই জানেন না। এসব হোটেলের নেই কোন বৈধতা। যদিও আবাসিক হোটেল পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কখা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। শুধুমাত্র সাইনবোর্ড ব্যবহার করার জণ্য সিটি কর্পোরেশনের নিকট হতে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে অবৈধ হোটেল ব্যবসা।
অণ্যদিতে এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা। তবে হোটেল মালিকরা জানান, আমরা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করে থাকি।
এবিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমারা অভিযোগের ভিক্তিতে উক্ত হোটেলটিতে অভিযান চালাই এবং নারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের প্রায়ই গ্রেফতার করে থাকি। এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। তবে এসব ব্যবসায়ীরা যত বড় শক্তিশালী হোকনা কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা এবং আমার এলাকায় এসব চলবেনা।