London ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা পালাবদলের আগেই আরও সহায়তা চান জেলেনস্কি

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেষ বার হোয়াইট হাউসে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় শেষ বারের মতো ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২৪০ কোটি ডলার অংকের সামরিক সহায়তা মঞ্জুর করলেন বাইডেন। 

জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ৫৫০ কোটি ডলার অংকের সহায়তার আশ্বাসও দিলেন তিনি। এরপর কে নতুন মার্কিন প্রশাসনের হাল ধরবেন, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাইডেন বলেন, ‘এখন আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে জেলেনস্কি চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে, এমন আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। কিন্তু রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলে সেই সংহতি প্রবল ধাক্কা খাবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ট্রাম্প প্রয়োজনে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের কিছু অংশে রাশিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে আপোসের পথে এগোনোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতির প্রতি সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, এমন প্রস্তাব বিপজ্জনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। এর আগে বুধবার নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে এক নির্বাচনি প্রচারের সভায় তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমেরিকা এমন এক নেতাকে কোটি কোটি ডলার দিয়ে চলেছে, যিনি কোনো বোঝাপড়া করতে প্রস্তুত নন। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় যে কোনো মূল্যে শান্তি চুক্তি করা অনেক ভালো। আমেরিকা সফরের শুরুতেই জেলেনস্কি যেভাবে বাইডেনের শহরে এক অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন, নির্বাচনের আগে এমন আচরণেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা যতটা সম্ভব ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করতে বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসে জার্মানিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। ৫০টিরও বেশি দেশের সহায়তার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যাটোর নেতৃত্বে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ভবিষ্যতেও ইউক্রেনকে সাহায্য করার পথ খোলা রাখার চেষ্টা করছেন বাইডেন। তবে তিনি জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে রাশিয়ার গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছাড়পত্র দেবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার বেড়ে চলা সাফল্যের মুখে জেলেনস্কি যুদ্ধের গতি বদলাতে এমন পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও নিউইর্য়ক টাইমস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫৩
Translate »

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা পালাবদলের আগেই আরও সহায়তা চান জেলেনস্কি

আপডেট : ১২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শেষ বার হোয়াইট হাউসে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় শেষ বারের মতো ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২৪০ কোটি ডলার অংকের সামরিক সহায়তা মঞ্জুর করলেন বাইডেন। 

জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ৫৫০ কোটি ডলার অংকের সহায়তার আশ্বাসও দিলেন তিনি। এরপর কে নতুন মার্কিন প্রশাসনের হাল ধরবেন, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাইডেন বলেন, ‘এখন আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে জেলেনস্কি চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে, এমন আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। কিন্তু রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলে সেই সংহতি প্রবল ধাক্কা খাবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ট্রাম্প প্রয়োজনে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের কিছু অংশে রাশিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে আপোসের পথে এগোনোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতির প্রতি সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, এমন প্রস্তাব বিপজ্জনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শুক্রবার জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। এর আগে বুধবার নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে এক নির্বাচনি প্রচারের সভায় তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমেরিকা এমন এক নেতাকে কোটি কোটি ডলার দিয়ে চলেছে, যিনি কোনো বোঝাপড়া করতে প্রস্তুত নন। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় যে কোনো মূল্যে শান্তি চুক্তি করা অনেক ভালো। আমেরিকা সফরের শুরুতেই জেলেনস্কি যেভাবে বাইডেনের শহরে এক অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন, নির্বাচনের আগে এমন আচরণেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা যতটা সম্ভব ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করতে বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসে জার্মানিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। ৫০টিরও বেশি দেশের সহায়তার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যাটোর নেতৃত্বে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ভবিষ্যতেও ইউক্রেনকে সাহায্য করার পথ খোলা রাখার চেষ্টা করছেন বাইডেন। তবে তিনি জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে রাশিয়ার গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছাড়পত্র দেবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার বেড়ে চলা সাফল্যের মুখে জেলেনস্কি যুদ্ধের গতি বদলাতে এমন পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও নিউইর্য়ক টাইমস