London ০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেসি-সুয়ারেজের নৈপুণ্যে বড় জয় পেল মায়ামি

অনলাইন ডেস্ক:

জয়ের আনন্দটা আরও বেশি হতে পারতো ইন্টার মায়ামির। দিন তিনেক আগে তারা ঘরের মাঠে হেরে কনকাকাফের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল। তখনই মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের গোলে বড় জয়ই পেল ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) ভোরে মায়ামি মুখোমুখি হয় নিউইয়র্ক রেড বুলসের। ম্যাচের প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা তিন দফা এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতির আগমুহূর্তে ব্যবধান কমায় নিউইয়র্ক। পরে মেসি স্কোরশিটে নাম তোলার পাশাপাশি মায়ামির ৪-১ গোলে বড় জয়ও নিশ্চিত করেন।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও সুয়ারেজ ছাড়াও মায়ামির পক্ষে একটি করে গোল করেন ফাফা পিকোল্ট এবং মার্সেলো ওয়েগান্ডট। নিউইয়র্কের ব্যবধান কমানো গোলটি আসে বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক ফরোয়ার্ড ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের পা থেকে। যদিও আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি চুপো-মোটিংসহ তার সতীর্থরা।

সুয়ারেজের বাড়ানো পাস ধরে নবম মিনিটেই মায়ামিকে লিড এনে দেন ফিকোল্ট। ৩০ মিনিটেই সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্সেলো। প্রথম গোলের যোগান দেওয়া উরুগুইয়ান তারকা নাম তোলেন ৩৯ মিনিটে। বিরতির আগেই তিন দফা গোল হজম করে ব্যাকফুটে চলে যায় নিউইয়র্ক রেড বুলস। তবে প্রধমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে তাদের ব্যবধান কমে চুপো মোটিংয়ের অবদানে।

দ্বিতীয়ার্ধে মেসির গোলটি আসে ৬৭ মিনিটে। সতীর্থের সঙ্গে পাস চালাচালি করে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে ভাসানো বলে শট নেন আর্জেন্টাইন তারকা। স্বল্প দূরত্বের সেই জোরালো শট ঠেকানোর সুযোগ ছিল না রেড বুলস গোলরক্ষকের পক্ষে। এটি আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারে ৮৫৯তম গোল। এরপর দুই দলই চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও, আর কেউই গোল পায়নি। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।

এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বাস ক্রু ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। এ ছাড়া সমান ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই-তিনে যথাক্রমে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ও এফসি সিনসিনাতি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
Translate »

মেসি-সুয়ারেজের নৈপুণ্যে বড় জয় পেল মায়ামি

আপডেট : ০৩:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

জয়ের আনন্দটা আরও বেশি হতে পারতো ইন্টার মায়ামির। দিন তিনেক আগে তারা ঘরের মাঠে হেরে কনকাকাফের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল। তখনই মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজদের গোলে বড় জয়ই পেল ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে আজ (রোববার) ভোরে মায়ামি মুখোমুখি হয় নিউইয়র্ক রেড বুলসের। ম্যাচের প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা তিন দফা এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতির আগমুহূর্তে ব্যবধান কমায় নিউইয়র্ক। পরে মেসি স্কোরশিটে নাম তোলার পাশাপাশি মায়ামির ৪-১ গোলে বড় জয়ও নিশ্চিত করেন।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও সুয়ারেজ ছাড়াও মায়ামির পক্ষে একটি করে গোল করেন ফাফা পিকোল্ট এবং মার্সেলো ওয়েগান্ডট। নিউইয়র্কের ব্যবধান কমানো গোলটি আসে বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক ফরোয়ার্ড ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের পা থেকে। যদিও আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি চুপো-মোটিংসহ তার সতীর্থরা।

সুয়ারেজের বাড়ানো পাস ধরে নবম মিনিটেই মায়ামিকে লিড এনে দেন ফিকোল্ট। ৩০ মিনিটেই সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্সেলো। প্রথম গোলের যোগান দেওয়া উরুগুইয়ান তারকা নাম তোলেন ৩৯ মিনিটে। বিরতির আগেই তিন দফা গোল হজম করে ব্যাকফুটে চলে যায় নিউইয়র্ক রেড বুলস। তবে প্রধমার্ধ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে তাদের ব্যবধান কমে চুপো মোটিংয়ের অবদানে।

দ্বিতীয়ার্ধে মেসির গোলটি আসে ৬৭ মিনিটে। সতীর্থের সঙ্গে পাস চালাচালি করে বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে ভাসানো বলে শট নেন আর্জেন্টাইন তারকা। স্বল্প দূরত্বের সেই জোরালো শট ঠেকানোর সুযোগ ছিল না রেড বুলস গোলরক্ষকের পক্ষে। এটি আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারে ৮৫৯তম গোল। এরপর দুই দলই চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও, আর কেউই গোল পায়নি। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টার মায়ামি।

এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে মায়ামি। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বাস ক্রু ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। এ ছাড়া সমান ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই-তিনে যথাক্রমে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ও এফসি সিনসিনাতি।