ব্রাম্মনবাড়ীয়ায় ১৭ বছর পর ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে উদযাপিত হল বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

১৭ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ফিরে এলো বর্ণাঢ্য বাংলা নববর্ষ উদযাপন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজনে মুখর হয়ে উঠেছিল কসবার জনপদ।
রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শুভেচ্ছা শোভাযাত্রা। পান্তা-ইলিশ, মঙ্গল শোভাযাত্রা আর ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের ছন্দে মুখরিত হয়ে পড়ে চারপাশ। শোভাযাত্রাটি পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল বর্ণমালা সাজানো মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লোকসংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন ও হালখাতাভিত্তিক প্রদর্শনী। এতে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ গোলাম সরোয়ার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান, কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধীজন।
নববর্ষ উপলক্ষে গোটা এলাকা ছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
নতুন বছর শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা বদল নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত প্রাণের প্রকাশ। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য, মানবিকতা ও সম্প্রীতির প্রতীক। এই দিনটি নতুন সম্ভাবনা আর অঙ্গীকারের বার্তা নিয়ে আসে—নতুন আলোর দিকে পথচলার অনুপ্রেরণা জোগায়।
শুভ নববর্ষ ১৪৩২—নতুন আলোয় জেগে উঠুক প্রাণ, জাগুক বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা।