London ০১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
হামজার ছোঁয়ায় ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয় এই রাতে আলো ছিল, জয় ছিল, আর ছিল একজন হামজা চৌধুরী ইতালিতে সাংগঠনিক কাজে‌ বিশেষ অবদান রাখায় ইকবাল বেপারী‌কে সংবর্ধনা দিলো‌ প্রগতি ব্যবসায়ী সমিতি পটুয়াখালীতে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষনে বিনামূল্যে ৪৭ মেট্রিক টন লবন বিতরণ পটুয়াখালীতে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন পশুর হাট রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ঈদ উপহার পেলো দুর্গাপুরের চার শহীদের পরিবার সিরাজগঞ্জে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী‌কে খুনের অ‌ভি‌যোগ-আটক ১ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির পিসাকানে স্কুলে টেস্ট দ্যা ওয়ার্ল্ড নামে অনুষ্ঠিত বহুজাতিক সংস্কৃতির মিলনমেলা

বেতন-বোনাস পাননি গাজীপুরের ৫ কারখানার শ্রমিকরা

অনলাইন ডেস্ক:

গাজীপুরে পাঁচটি পোশাক কারখানায় এখনো বেতন-বোনাস হয়নি। এতে ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে ওই কারখানাগুলোর শ্রমিক ও তাদের পরিবারের।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুরের জারা কম্পোজিট, মোগড়খাল এলাকার এনজেড অ্যাপারেলস, তিনসড়ক এলাকার স্টাইল ক্রাফট, শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকার এইচডিএফ অ্যাপারেলস ও কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকার হ্যাগ নিটওয়ার।

এই কারখানাগুলোর শ্রমিকরা শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত বেতন-বোনাস পাননি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, জারা নিট কম্পোজিট ও হ্যাগ নিটওয়ার কারখানার মালিক লাপাত্তা। এতে বেতন ও ঈদ বোনাস বঞ্চিত হয়েছেন জারার ৪০০ এবং হ্যাগ নিটওয়ারের ৩০০ শ্রমিক।

অপরদিকে এইচডিএফ অ্যাপারেলসের দুই হাজার ৩০০ শ্রমিক বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছেন ঈদের পর বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন। শ্রমিকরা বিষয়টি মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

আর টিএনজেডের পাঁচটি কারখানার ৩৬০০ শ্রমিকের মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। স্টাইল ক্রাফটের চাকরিচ্যুত ১৯০০ শ্রমিক বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। শ্রম মন্ত্রণালয় অনেক চেষ্টা করেও তাদের সমস্যা সমাধান করতে না পেরে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। শ্রমিকরা এখন আর আন্দোলনে নেই। তারপরও ওই দুই কারখানার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে শুক্রবার সড়ক অবরোধ করে টঙ্গীর পাগাড় এলাকার হংকং ফ্যাশনের পাচঁশতাধিক শ্রমিক। পরে আলোচনার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৬৫ ভাগ বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। বাকি বকেয়া বেতন ঈদের পর পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়। শ্রমিকরা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
২৪
Translate »

বেতন-বোনাস পাননি গাজীপুরের ৫ কারখানার শ্রমিকরা

আপডেট : ০১:০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরে পাঁচটি পোশাক কারখানায় এখনো বেতন-বোনাস হয়নি। এতে ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে ওই কারখানাগুলোর শ্রমিক ও তাদের পরিবারের।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুরের জারা কম্পোজিট, মোগড়খাল এলাকার এনজেড অ্যাপারেলস, তিনসড়ক এলাকার স্টাইল ক্রাফট, শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকার এইচডিএফ অ্যাপারেলস ও কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচালা এলাকার হ্যাগ নিটওয়ার।

এই কারখানাগুলোর শ্রমিকরা শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত বেতন-বোনাস পাননি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, জারা নিট কম্পোজিট ও হ্যাগ নিটওয়ার কারখানার মালিক লাপাত্তা। এতে বেতন ও ঈদ বোনাস বঞ্চিত হয়েছেন জারার ৪০০ এবং হ্যাগ নিটওয়ারের ৩০০ শ্রমিক।

অপরদিকে এইচডিএফ অ্যাপারেলসের দুই হাজার ৩০০ শ্রমিক বেতন-বোনাস থেকে বঞ্চিত। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছেন ঈদের পর বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন। শ্রমিকরা বিষয়টি মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

আর টিএনজেডের পাঁচটি কারখানার ৩৬০০ শ্রমিকের মধ্যে একটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে কর্তৃপক্ষ। স্টাইল ক্রাফটের চাকরিচ্যুত ১৯০০ শ্রমিক বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। শ্রম মন্ত্রণালয় অনেক চেষ্টা করেও তাদের সমস্যা সমাধান করতে না পেরে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। শ্রমিকরা এখন আর আন্দোলনে নেই। তারপরও ওই দুই কারখানার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে শুক্রবার সড়ক অবরোধ করে টঙ্গীর পাগাড় এলাকার হংকং ফ্যাশনের পাচঁশতাধিক শ্রমিক। পরে আলোচনার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৬৫ ভাগ বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। বাকি বকেয়া বেতন ঈদের পর পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়। শ্রমিকরা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।