London ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির শোক স্মরণে সিরাজগঞ্জে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে নাবিল গ্রুপকে ২ লাখ টাকা জরিমানা কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখায় গাইবান্ধায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধন পটুয়াখালীতে চলতি বছরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা চরমে সিরাজগঞ্জে যমুনা শিশুপার্কের যাত্রা: খুশির নতুন ঠিকানা শিশুদের জন্য পাইকেরছড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ইজি ডেলিভারি সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ গ্রেটার কামাল বাজার ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে এর চ‍্যারিটি ব‍্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ সম্পন্ন সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর কলেজে উপাধ্যক্ষ ও দুই প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রাইসা মনির মৃত দেহর খোজ মিললো সিএমএইচয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গোবিন্দগঞ্জে আবারও ২ জন সক্রিয় হ্যাকার গ্রেফতার

বিশেষ অভিযানে মাদকের ১১ গডফাদারসহ ৮৯ শীর্ষ কারবারি গ্রেপ্তার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

দেশব্যাপী এক মাসের বিশেষ অভিযানে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ৫ হাজার ২৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় মামলা হয় ১ হাজার ১৯৮টি। গ্রেপ্তার হন মোট ১ হাজার ২৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযানের সময় ৩ লাখ ৯ হাজার ১০১টি ইয়াবা, ৩ দশমিক ৭৬ কেজি হেরোইন, ১ দশমিক ১ কেজি আইস, ৩ হাজার ৭৭৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ হাজার ৪১৬ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে আরও রয়েছে, বিয়ার ২ হাজার ৪১৬ ক্যান, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৫ হাজার ৭৯১ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ৩৮০ লিটার, ৬৬৪ কেজি গাঁজা, ইনজেকশন ৪ হাজার ২২২ অ্যাম্পুল। এর বাইরে অভিযানকাল একটি শটগান, ৫১টি গুলি, ৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং ২১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রতি একটি অভিযোগ রয়েছে, আমরা শুধু ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করি বা আইনের আওতায় আনি। তবে এটি ঠিক নয়। আমরা বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরও আইনের আওতায় আনি।’

অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যা কমানো হয়নি।’

রাজধানী ঢাকার অবৈধ বারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে মাদক বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় কাজ করি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলেও আমাদের দিন। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
৯১
Translate »

বিশেষ অভিযানে মাদকের ১১ গডফাদারসহ ৮৯ শীর্ষ কারবারি গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৫:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

দেশব্যাপী এক মাসের বিশেষ অভিযানে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ৫ হাজার ২৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় মামলা হয় ১ হাজার ১৯৮টি। গ্রেপ্তার হন মোট ১ হাজার ২৯৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন গডফাদারসহ ৮৯ জন শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযানের সময় ৩ লাখ ৯ হাজার ১০১টি ইয়াবা, ৩ দশমিক ৭৬ কেজি হেরোইন, ১ দশমিক ১ কেজি আইস, ৩ হাজার ৭৭৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ হাজার ৪১৬ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে আরও রয়েছে, বিয়ার ২ হাজার ৪১৬ ক্যান, টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৫ হাজার ৭৯১ পিস, চোলাই মদ ১ হাজার ৩৮০ লিটার, ৬৬৪ কেজি গাঁজা, ইনজেকশন ৪ হাজার ২২২ অ্যাম্পুল। এর বাইরে অভিযানকাল একটি শটগান, ৫১টি গুলি, ৯টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এবং ২১ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের প্রতি একটি অভিযোগ রয়েছে, আমরা শুধু ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করি বা আইনের আওতায় আনি। তবে এটি ঠিক নয়। আমরা বড় মাদক ব্যবসায়ীদেরও আইনের আওতায় আনি।’

অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীর প্রকৃত সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংখ্যা কমানো হয়নি।’

রাজধানী ঢাকার অবৈধ বারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে মাদক বিক্রি করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় কাজ করি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলেও আমাদের দিন। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’