London ০৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:

বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

অনলাইন ডেস্ক:

কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি ঘিরে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে ভারতের বিরোধী দলগুলো।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ভারত। জম্মু, শ্রীনগর ও আরও কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদী সরকারের উদ্দেশে কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে এবং কাশ্মীর সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহায়তারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অথচ ভারত বরাবরই বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু কেবল দুই দেশই আলোচনা করবে, তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকার জায়গা নেই।

এ প্রেক্ষিতে বিরোধীরা জানতে চাইছে, ভারত কি এবার তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রতি উন্মুক্ত অবস্থান নিয়েছে? তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সরকার যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে।

এর আগে, শনিবার ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালের আরেক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় তিনি গর্বিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দুই দেশের সঙ্গে ‘বিপুল পরিমাণে’ বাণিজ্য বাড়াতে চান। এছাড়া কাশ্মীর সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ট্রাম্প।

তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পুরোপুরি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
Translate »

বিদেশি হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি, বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী

আপডেট : ০২:০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি ঘিরে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে ভারতের বিরোধী দলগুলো।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে ভারত। জম্মু, শ্রীনগর ও আরও কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মোদী সরকারের উদ্দেশে কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছে এবং কাশ্মীর সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহায়তারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অথচ ভারত বরাবরই বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক ইস্যু কেবল দুই দেশই আলোচনা করবে, তৃতীয় পক্ষের কোনো ভূমিকার জায়গা নেই।

এ প্রেক্ষিতে বিরোধীরা জানতে চাইছে, ভারত কি এবার তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রতি উন্মুক্ত অবস্থান নিয়েছে? তারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সরকার যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে।

এর আগে, শনিবার ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

রোববার ট্রুথ সোশ্যালের আরেক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় তিনি গর্বিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি দুই দেশের সঙ্গে ‘বিপুল পরিমাণে’ বাণিজ্য বাড়াতে চান। এছাড়া কাশ্মীর সংকটের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুঁজতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান ট্রাম্প।

তবে ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি পুরোপুরি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফল।