London ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে শ্বশুর নিহত পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বাকিতে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে কি সুদ হবে?

অনলাইন ডেস্ক

বিভিন্ন কোম্পানি বাকিতে পণ্য বিক্রি করে। বাকিতে কিনলে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সুদের সাথে কিছুটা সাদৃশ্য থাকায় এ ধরনের বেচাকেনা জায়েজ কি না এ প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।

এ প্রশ্নের উত্তর হলো, বাকিতে পণ্য বেচাকেনা করা জায়েজ। নগদ মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য যা, বাকিতে বেচাকেনার ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য তার চেয়ে বেশি হলেও তা জায়েজ হবে। মূল্য পরিশোধের সময়সীমা কমবেশি অনুযায়ী মূল্য কমবেশি করাও জায়েজ।

তবে শর্ত হলো, বেচাকেনার সময় যে কোনো একটি মেয়াদ চূড়ান্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী একটা মূল্য চূড়ান্ত করে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহক যদি পণ্যটি কিস্তিতে নেয় তবে তা কত মাসে পরিশোধ করবে এবং মোট কত টাকা পরিশোধ করবে তা চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে।

বেচাকেনা সম্পন্ন হওয়ার পর কোনো মূল্য আদায়ে বিলম্ব হলেও মূল্য বাড়ানোর শর্ত থাকতে পারবে না। পূর্ব নির্ধারিত মূল্য অপরিবর্তিত থাকতে হবে। গ্রাহকের দায়িত্ব হবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বাকি থাকা মূল্য আদায় করে দেয়া। যেন বিলম্বের কারণে বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বাকি থাকা মূল্য নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আদায় না করলে যদি মূল্য বৃদ্ধির শর্ত থাকে, তাহলে তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত ও হারাম হবে। কোনো কোম্পানি বা ব্যবসায়ী না জেনে এ রকম বেশি মূল্য আদায় করে থাকলে তাদের দায়িত্ব ক্রেতাদের ওই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া। সেটা অসম্ভব হলে ওই টাকা তাদের পক্ষ থেকে গরিব-মিসকীনদের সদকা করে দিতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫২
Translate »

বাকিতে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে কি সুদ হবে?

আপডেট : ০৫:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিভিন্ন কোম্পানি বাকিতে পণ্য বিক্রি করে। বাকিতে কিনলে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সুদের সাথে কিছুটা সাদৃশ্য থাকায় এ ধরনের বেচাকেনা জায়েজ কি না এ প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।

এ প্রশ্নের উত্তর হলো, বাকিতে পণ্য বেচাকেনা করা জায়েজ। নগদ মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য যা, বাকিতে বেচাকেনার ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য তার চেয়ে বেশি হলেও তা জায়েজ হবে। মূল্য পরিশোধের সময়সীমা কমবেশি অনুযায়ী মূল্য কমবেশি করাও জায়েজ।

তবে শর্ত হলো, বেচাকেনার সময় যে কোনো একটি মেয়াদ চূড়ান্ত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী একটা মূল্য চূড়ান্ত করে দিতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহক যদি পণ্যটি কিস্তিতে নেয় তবে তা কত মাসে পরিশোধ করবে এবং মোট কত টাকা পরিশোধ করবে তা চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে।

বেচাকেনা সম্পন্ন হওয়ার পর কোনো মূল্য আদায়ে বিলম্ব হলেও মূল্য বাড়ানোর শর্ত থাকতে পারবে না। পূর্ব নির্ধারিত মূল্য অপরিবর্তিত থাকতে হবে। গ্রাহকের দায়িত্ব হবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বাকি থাকা মূল্য আদায় করে দেয়া। যেন বিলম্বের কারণে বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বাকি থাকা মূল্য নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে আদায় না করলে যদি মূল্য বৃদ্ধির শর্ত থাকে, তাহলে তা সুদি কারবারের অন্তর্ভুক্ত ও হারাম হবে। কোনো কোম্পানি বা ব্যবসায়ী না জেনে এ রকম বেশি মূল্য আদায় করে থাকলে তাদের দায়িত্ব ক্রেতাদের ওই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া। সেটা অসম্ভব হলে ওই টাকা তাদের পক্ষ থেকে গরিব-মিসকীনদের সদকা করে দিতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।