বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জননেতা তারেক রহমান বরাবর খোলা চিঠি

শ্রদ্ধেয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,
আসসালামু আলাইকুম। সারা জীবন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দলকে ভাল ভেসেছি। দলের খুব খারাপ সময়েও দলকে পুনর্গঠন ও সুরক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে পিছপা হইনি। লক্ষ্য ছিল, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী, শোষণ, দূর্ণীতি, বঞ্চনা ও নির্যাতন মুক্ত দেশ গঠনের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ- পরিতাপের সঙ্গে আজ আপনাকে জানাচ্ছি এরই মধ্যে আমাদের দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এজেন্টরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দেশের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন কুটকৌশল অবলম্বন করছে। যারা বিগত ৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, কামিয়েছেন দু’হাতে টাকা। তারাই ৫ আগস্টের পরে সবচেয়ে “নামি দামি, ত্যাগী বিএনপি” হিসেবে অর্থের বিনিময়ে দলে স্থান করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে আওয়ামী কর্মীরাও অর্থের বিনিময়ে জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন কমিটিতে অনুপ্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে। যাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এরই মধ্যে জাতীয়তাবাদী নাম ধরে দেশজুড়ে শুরু করেছে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানি, বাসস্ট্যান্ড, ফেরী ঘাট, ভূমি ও নদী দখল, নিয়োগ ও কমিটি বাণিজ্য, ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, হাট-বাজারে চাঁদা তোলা সহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড। এসব কাজে মাইগ্রেন্ট ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সম্মুখভাগে থাকলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি’র উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব। পুরো দেশের দু’ চারটি এলাকা বাদে প্রায় সব জেলায়ই এখন চলছে এই মহাউৎসব। যদিও দল এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার এবং দেড় হাজার কর্মীকে সতর্ক নোটিশ প্রদান করেছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য! এর অন্যতম কারণ যাদেরকে বহিষ্কার করা হচ্ছে, তাদের পিছনের চালিকাশক্তি অটুট থাকায় বহিষ্কারে ফলাফল আসছে না। গাজীপুরে একেএম ফজলুল হক মিলন, শওকত হোসেন, মঞ্জুরুল করিম রনি, রিয়াজুল হান্নান, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিল্লাল বেপারী, আবু বক্কর সিদ্দিক, ফজল মুসুল্লী, তাহের মুসুল্লী, শাজাহান ফকির, নাটোরে রুহুল কুদ্দুস দুলু, রহিম নেওয়াজ, দেওয়ান শাহিন, দাউদার মাহমুদ, ঢাকায় মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম, নরসিংদীতে নাজমুল হক মোহন, মেয়র আব্দুল কুদ্দুস, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ, মঞ্জুর এলাহী সহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা/মহানগর কমিটির প্রধানরা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অপরাধ কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগি। যারা নিয়মিত চাঁদা তোলেন, ইদানিং তাদেরকেই দলের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বিরোধী মিছিলের অগ্রভাগে দেখা যাচ্ছে। যা সত্যি দুঃখজনক এবং হাস্যকরও বটে।
হে সম্মানিত দলের অভিভাবক, বিগত সময়ে বিএনপির পরাজয়ের জন্য যে দুই একটি কারণ অন্যতম তার মধ্যে রাজশাহী-নাটোর অঞ্চলে জেএমবি-জঙ্গি উত্থান! দলের জেলা কমিটির প্রত্যক্ষ যোগসাজসে চাঁদাবাজি, দখল, হানাহানি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড অন্যতম। ওই সময় জঙ্গি উত্থান এবং জেএমবি সৃষ্টির অন্তরালে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তারাই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে, আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে এলাকায় বীরর্দপে বসবাস করেন। এমনকি ৫ আগস্টে রাষ্ট্রীয় পট পরিবর্তনের পর সুবিধাবাদী ওই চক্র দলের আপনজন হয়ে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন। খুব সহজে একটি বিষয় খেয়াল করবেন, পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী ঘরানার শিল্প ও কলকারখানা কোন ধরনের প্রশাসক ছাড়াই ভাগ বন্টন সূত্রে, বিনা বাধায় কতিপয় জাতীয়তাবাদীর তদারকিতে পরিচালিত হচ্ছে! যা সত্যি অবাক করা বিষয়। আপনি লক্ষ্য করবেন, কোন বাধা বিপত্তি কিংবা প্রশাসক ছাড়াই পূর্বের ন্যায় হিস্যার বিনিময়ে পরিচালিত হচ্ছে সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান ব্যক্সিমকো গ্রুপ, মোর্শেদ আলমের বেঙ্গল গ্রুপ, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আফম মোস্তফা কামাল, নাটোরে রমজান হাজীর ইটভাটা, অটো ফ্ল্যাওয়ার মিল ও একাধিক প্রতিষ্ঠান সাবেক এমপি শিমুলের বড় ভাইয়ের চামড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ আওয়ামীলীগের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নিদের্শে দেওয়ন শাহীন গংদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং গাজী গোলাম দস্তগীর, সহ অসংখ্য আওয়ামী কল-কারখানা, প্রতিষ্ঠান। এসব নিয়ন্ত্রণে আছে উচ্চ পর্যায়ের জাতীয়তাবাদী শক্তি। আর এসব কারণেই তারা দলীয় কমিটিতে একাধিক বিতর্কিত, আওয়ামী পদধারী ব্যক্তিদের জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন কমিটিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে স্থান দেয়া শুরু করেন। নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ (জাতীয় পার্টি), সদস্য আব্দুল আজিজ (আ.লীগ), গাজীপুর মহানগর আহ্বায়ক শওকত হোসেন (জাতীয় পার্টি) এরকম অসংখ্য দল বিরোধী ব্যক্তি এখন দলের কান্ডারী। আর এদের সহযোগিতায় দলকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে একদল অবুঝ জাতীয়তাবাদী। অপরদিকে অপরাধ কর্মে ১৭ বছরের অভিজ্ঞ ফ্যাসিস্ট দলের লোকজন আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রলোভনে অপরাধ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে এবং ফায়দা হাসিলের সুযোগ পাচ্ছেন।
হে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমান, আপনি জেনে অবাক হবেন, দেশজুড়ে জাতীয়তাবাদী দলীয় বিভিন্ন কমিটিতে এক বা একাধিক পদে আওয়ামী এজেন্টরা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন। বিশেষ করে গাজীপুর, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, রাজশাহী উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন স্থানে স্কুল-কলেজ পরিচালনা কমিটি অর্থের বিনিময়ে গঠন করা হয়েছে। এখন সেই সব স্কুল কলেজে চলছে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়মিত শোধ করতে হচ্ছে চাঁদা। আপনি হয়তো এরমধ্যে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখেছেন। নাটোরের নলডাঙ্গার ছাতারবাগে চাঁদা না দেয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ আতাউরকে মারপিট করা হয়। সিংড়ায় দাউদার মাহমুদের প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাপক মাদক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন সেক্টরে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। এখানে বাদ যায়নি রিক্সা ও অটোস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড, গুদারাঘাট, ফেরিঘাট, বিভিন্ন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান, ছোট বড় ইন্ডাস্ট্রি। এসব স্থান থেকে নিয়মিত আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এছাড়া প্রতিনিয়ত কারখানার ঝুট ও ওয়েষ্টেজ ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলছে মারমুখী লড়াই। এই চিত্র গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, নাটোর, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল সহ দেশের শিল্পাঞ্চলে লক্ষণীয়।
হে দলের দিশারী আমাদের কান্ডারী, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী চক্র আমাদের দলের কতিপয় নেতৃত্বের সঙ্গে জোগসাজ করে দলীয় ইমেজ নষ্টে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অপতৎপরতায় দলের শতভাগ জনপ্রিয়তা ক্রমেই নিচের দিকে নামছে। এভাবে তাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। ৫ আগস্টের পর বিএনপির আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই ম্লান। সে সময় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যিনিই নির্বাচন করতেন, বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলের এসব আগাছা এবং বিতর্কিতদের বের করে না দিলে বিজয় নিশ্চিত দূরূহ হয়ে পড়বে। আরেকটা বিষয়, “মনে আওয়ামী, বাইরে বিএনপি” রূপধারীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দল চলতে থাকলে সংসদে বিজয়ী নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সরকার পতনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর এতে দলের বর্তমান অবস্থা হবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের চেয়েও করুন! যা হবে দল ও প্রকৃত জাতীয়তাবাদীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ।
হে প্রাণপ্রিয় তারেক রহমান, আপনার প্রতি সবিনয় অনুরোধ- দলের আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনায় এখনই কঠোর হস্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকে।
প্রথম, যারা দলে অনুপ্রবেশকারী তারা যত আপনজনই হোক আর যত শক্তিশালী হোক তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে এবং তাদের দলে আনার কারিগরদের যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়।
দ্বিতীয়, সারা দেশে দলীয় চাঁদাবাজদের তালিকা প্রণয়ন করে দ্রুততার সাথে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। এক্ষেত্রে সরকারের ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি’র আদলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এক বা একাধিক বিশেষ স্পেশাল কমিটি গঠন করা জরুরী। যারা সরাসরি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের পরিচয়ও শুধু তিনিই জানবেন। তাদের কাজ হবে ৬৪ জেলার প্রকৃত ও ত্যাগী জাতীয়তাবাদীদের দলের বিভিন্ন কমিটিতে স্থান করে দিতে সুপারিশ করা। এছাড়া দলে ঘাপটি মেরে থাকা অপরাধিকে সনাক্তকরণ।
তৃতীয়, অতীতে যারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে জেএমবি সহ জঙ্গি উত্থান ঘটিয়েছে, তাদেরকে পুনরায় কোনভাবেই দলে স্থান না দেওয়া সমীচীন। শুধু তাদের নয়, যাদের প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায় এখন চাঁদাবাজি হচ্ছে সেই মূল উৎপাটন করাও জরুরী। মূল উৎপাদন ছাড়া কোনভাবেই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং দলীয় হানাহানি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
চতুর্থ, নির্বাচন সামনে রেখে যত দ্রুত সম্ভব প্রকৃত ও ত্যাগী জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিদের নিয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর, থানা, মহানগর ও জেলা কমিটিগুলো সম্পন্ন করা প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে দলের মধ্যে যারা “সর্প হইয়া দংশন করে, ওজা হইয়া ঝাড়ে” এই নীতিতে বিশ্বাসী তারা যেন কোনভাবেই স্থান না পায়। কারণ এরা আওয়ামী এজেন্ট, এরা কমিটিতে ঘাপটি মেরে থাকলে, নির্বাচনে অনুকূল ফলাফল বয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।
পঞ্চম, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, চাঁদাবাজি ও অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যাদের নাম জড়িয়ে যাবে, তাদের দল থেকে বহিষ্কারসহ আইনের হাতে সোপর্দ করার অনুরোধ করছি। সেই ক্ষেত্রে অপরাধ ওয়ার্ডে হয়ে থাকলে ইউনিয়ন কমিটি, ইউনিয়নে হয়ে থাকলে থানা কমিটি এবং থানায় হয়ে থাকলে জেলা কমিটিকে জবাবদিহির মাধ্যমে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। মোটকথা অপরাধের মূল উৎপাটন জরুরি। এখন যে বহিষ্কার প্রক্রিয়া চলছে, এটা গাছের পাতা ছাটানোর মত!
ষষ্ঠ, দলের মধ্যে থাকা আওয়ামী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিরা কোনভাবেই চায়না আপনি সফলভাবে ও সুন্দর ভাবে দেশ পরিচালনা করেন। তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে পুরো দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা। আর সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এগিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে কোনভাবেই যেন শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়া না হয়।
পরিশেষে, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং সফলতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
বিনীত
আপনার বিশ্বস্ত
(জামাল ছদ্ম নাম)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের অতন্ত্র প্রহরী।
শহীদ জিয়াউর রহমান অমর হোক।
বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ,
আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমান জিন্দাবাদ।