London ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা ভারতের, দাবি এস জয়শঙ্করের

অনলাইন ডেস্ক:

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা ভারতের।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলে বর্ণনা করার এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের ‘সমুদ্র প্রবেশাধিকারের অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক)-এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরে, ভারতের সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং বিমসটেকের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সঙ্গেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে। ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।’

জয়শঙ্কর বলেন, বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:২৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
২২
Translate »

বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা ভারতের, দাবি এস জয়শঙ্করের

আপডেট : ১২:২৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা ভারতের।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলে বর্ণনা করার এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের ‘সমুদ্র প্রবেশাধিকারের অভিভাবক’ হিসেবে উল্লেখ করার কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন (বিমসটেক)-এ ভারতের কৌশলগত ভূমিকা তুলে ধরে, ভারতের সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার উপকূলরেখা এবং বিমসটেকের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে ভারতের ভৌগোলিক সংযোগের ওপর আলোকপাত করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সঙ্গেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকে সংযুক্তও করে। ভারতীয় উপমহাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি বড় অংশও প্রদান করে।’

জয়শঙ্কর বলেন, বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিমসটেকের জন্য একটি ‘সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে’ আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, পানিপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সচেতন যে— এই বৃহত্তর ভৌগোলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই ভূ-কৌশলগত বিষয়কে মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে বিমসটেক-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে— সহযোগিতা একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, চেরি-পিকিং (পক্ষপাতদুষ্ট) বিষয় নয়।