London ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
পটুয়াখালীতে নিরাপত্তা জোরদারে ডিআইজি’র আকস্মিক থানা পরিদর্শন রাজশাহীতে পুরোহিতকে মারধর মেডিকেল ক্যাম্প–রক্তদানে ব্যতিক্রমী আয়োজন, পালিত হলো প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত রাজশাহীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০২৫ কালিয়াকৈর ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বি এন পির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভের বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে প্রবাসীদের গণজমায়েত রাজশাহীতে চলছে উদ্যোক্তা মেলা গাজীপুর-১ আসন কালিয়াকৈরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর

প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে ভুয়া কমিটি, থানায় জিডি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিকতার আড়ালে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ‘ব্যবসা’ ফাঁস হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন ও মামুনুর রশীদকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গাকে ঘিরে নেমেছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ—তাদের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের অশরীরী ছায়া, আর সেই কারণেই দাপটের সঙ্গে ভুয়া কমিটি চালিয়ে সরকারি দপ্তরে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে তারা।

জিডি সূত্রে জানা যায়, কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থেকেও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন শাহিন ও মামুন। অভিযোগ উঠেছে, এই পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এ কারণে গত ১৫ মে ২০২৫ তাঁদের কাছে ডাকযোগে (এডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কোনো জবাব না দিলে ১২ জুন ২০২৫ ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বহিষ্কারের পর তারা হঠাৎ করে নিজেরাই প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার নামে ভুয়া কমিটি ঘোষণা করেন। নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে সরকারি দপ্তরে হাজির হন নানা দাবি-দাওয়ায়। চাঞ্চল্যের বিষয় হলো—তাদের কমিটিতে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। ফলে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এই প্রতিবাদের জের ধরেই গত ১১ আগস্ট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস খানকে মেসেঞ্জারে ভয়েস পাঠিয়ে হুমকি দেন বহিষ্কৃত সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন। হুমকি ছড়িয়েই থেমে থাকেননি, ভুয়া কমিটির পক্ষে একাধিক পোস্টও দিয়েছেন। এতে পুরো প্রেসক্লাবের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রশাসন নীরব। প্রশ্ন উঠছে—কোন দপ্তরে কীভাবে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে? সূত্র বলছে, কিছু সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার পেতে তারা ভুয়া কমিটির ব্যানার ব্যবহার করছে। কারও কারও গোপন সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, “তাদের এমন দৌরাত্ম্যের পেছনে প্রশাসনের ভেতরের কেউ না কেউ জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব না। চোখ বন্ধ করে রাখলেই হবে না, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পএ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক ও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, “আমরা জিডি এন্ট্রি করেছি। তদন্তের অনুমতি চেয়ে আগামী রোববার আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪৬
Translate »

প্রেসক্লাবের নাম ভাঙিয়ে ভুয়া কমিটি, থানায় জিডি

আপডেট : ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিকতার আড়ালে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ‘ব্যবসা’ ফাঁস হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন ও মামুনুর রশীদকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গাকে ঘিরে নেমেছে নতুন বিতর্ক। অভিযোগ—তাদের পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের অশরীরী ছায়া, আর সেই কারণেই দাপটের সঙ্গে ভুয়া কমিটি চালিয়ে সরকারি দপ্তরে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছে তারা।

জিডি সূত্রে জানা যায়, কোনো পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থেকেও নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন শাহিন ও মামুন। অভিযোগ উঠেছে, এই পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এ কারণে গত ১৫ মে ২০২৫ তাঁদের কাছে ডাকযোগে (এডি) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কোনো জবাব না দিলে ১২ জুন ২০২৫ ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বহিষ্কারের পর তারা হঠাৎ করে নিজেরাই প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার নামে ভুয়া কমিটি ঘোষণা করেন। নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে সরকারি দপ্তরে হাজির হন নানা দাবি-দাওয়ায়। চাঞ্চল্যের বিষয় হলো—তাদের কমিটিতে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তারা কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। ফলে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

এই প্রতিবাদের জের ধরেই গত ১১ আগস্ট প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস খানকে মেসেঞ্জারে ভয়েস পাঠিয়ে হুমকি দেন বহিষ্কৃত সদস্য শাহীনুর রহমান শাহিন। হুমকি ছড়িয়েই থেমে থাকেননি, ভুয়া কমিটির পক্ষে একাধিক পোস্টও দিয়েছেন। এতে পুরো প্রেসক্লাবের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় প্রশাসন নীরব। প্রশ্ন উঠছে—কোন দপ্তরে কীভাবে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে? সূত্র বলছে, কিছু সরকারি অফিসে প্রবেশাধিকার পেতে তারা ভুয়া কমিটির ব্যানার ব্যবহার করছে। কারও কারও গোপন সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সাংবাদিক বলেন, “তাদের এমন দৌরাত্ম্যের পেছনে প্রশাসনের ভেতরের কেউ না কেউ জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব না। চোখ বন্ধ করে রাখলেই হবে না, এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

পএ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক ও জিডির তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, “আমরা জিডি এন্ট্রি করেছি। তদন্তের অনুমতি চেয়ে আগামী রোববার আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।”