London ১১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচণ্ড ঠান্ডায় ৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ গত ১৯ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কমপক্ষে ৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্য সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে শীতজনিত ঠান্ডায়। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

এর আগে ইউএনআরডব্লিউএ’র কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি গাজার শীতকালীন ঠান্ডার ভয়াবহতা এবং মানবিক সহায়তার অভাব নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) জানায়, গাজায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনির শীতের ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। নভেম্বরের শেষের দিকে গাজায় কেবল ২,৮৫,০০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ জরুরি আশ্রয়ের উপকরণ পেয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৯,৪৫,০০০ মানুষ এখনো সহায়তার অপেক্ষায়।

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি জানিয়েছেন, দোহা, কায়রো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি হয়। গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া এই চুক্তির শর্তানুযায়ী, চার ধাপে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

প্রচণ্ড ঠান্ডায় ৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু

আপডেট : ০৪:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ গত ১৯ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কমপক্ষে ৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্য সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে শীতজনিত ঠান্ডায়। যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

এর আগে ইউএনআরডব্লিউএ’র কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি গাজার শীতকালীন ঠান্ডার ভয়াবহতা এবং মানবিক সহায়তার অভাব নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) জানায়, গাজায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনির শীতের ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। নভেম্বরের শেষের দিকে গাজায় কেবল ২,৮৫,০০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ জরুরি আশ্রয়ের উপকরণ পেয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৯,৪৫,০০০ মানুষ এখনো সহায়তার অপেক্ষায়।

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি জানিয়েছেন, দোহা, কায়রো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি হয়। গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া এই চুক্তির শর্তানুযায়ী, চার ধাপে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে।