London ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালানোর জায়গা পাবেন তো! এখন তো হাউন আংকেল নাই: তনি

অনলাইন ডেস্ক

দেশের আলোচিত দুই ইনফ্লুয়েন্সার বারিশ হক ও নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ঝগড়া যেন থামছেই না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি তনি। তবে পোস্টে কারো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই পোস্টে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি লিখেন, ‘আমি যখন লাইভ করতাম না, তখন আমার প্রতিষ্ঠান সানভিস বাই তনি মিনিমাম ১২/১৫ জন লাইভ প্রেজেন্টারের সঙ্গে কাজ করেছে, একজন কুখ্যাত মহিলা ছাড়া বাকি সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, তাদেরকে আমি অসম্ভব সম্মান করি, ভালোবাসি।

তিনি আরো লেখেন, ‘আমি অলওয়েজ বিশ্বাস করি এবং সব জায়গায়, সব ইন্টারভিউতে বলেছি—আমরা উদ্যোক্তারা ও প্রোমোটাররা একে অপরের পরিপূরক, একে অপরের বন্ধু। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে একটু-আকটু ঝামেলা হতেই পারে, ঘরে অনেকগুলো ভাই-বোন থাকলে তাদের মধ্যেও হয়।’

বাংলাদেশে অনলাইনে ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘যারা নিজেকে লাইভ প্রেজেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এটা কিন্তু আপনাদের জন্য খুব বড় একটা জায়গা। এইবার আসি আসল কথায়, বাংলাদেশের একমাত্র তবলা বাদকের বৌ ইদুর আম্বানি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, কোনো মানুষকেই সে মানুষ মনে করে না, উদ্যোক্তা হোক আর লাইভ প্রেজেন্টার হোক সবাইকে তিনি খোচাবে, সবাই তার হাতের ফাঁকা দিয়ে পড়ে যায়—একটা মানুষের সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে না, শুধুমাত্র নায়িকাদের পা চাটা ছাড়া।

এই নারী উদ্যোক্তা আরো উল্লেখ করেন, ‘সে নিজেকে নম্বর ওয়ান ব্রান্ড প্রোমোটার হিসেবে পরিচয় করায়, আর অন্য প্রোমোটারদের মেয়াদোত্তীর্ণ বলে হেয় করে। কয়েকদিন আগে এক টকশোতে সে আমার সঙ্গে কোনো যুক্তিতেই পারে না, এবং উপস্থাপিকার প্রতিটা প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ আর অন্য প্রোমোটারদের ওপর সব দায় চাপিয়ে দেয়, যার ভিডিও আপনারা অলরেডি দেখেছেন। তখন আবার আপার জামাই আমার হাসব্যান্ডকে নিয়ে নোংরা ভাষায় পোস্ট দেয়, যা সবাই দেখেছেন।’

তিনি লিখেন, ‘রিসেন্টলি আমি একটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করি এবং এটার প্রোমোশন করি কারণ এটাতে ১০০০ মানুষের ক্যাপাসিটি, যেটাতে আমার ৪০% শেয়ার, এবং এটা ছাড়াও আমার আরো অন্য রেস্টুরেন্টেও শেয়ার আছে—যা নিয়ে আমি কোনোদিন শোঅফ করি নাই, কিন্তু এই আপা নিজে যেমন পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফেইক ঠিক তেমনি আমাকে নিয়ে পোস্ট দিয়ে লিখে—আমি নাকি রেস্টুরেন্টের ফেইক মালিক।
তার আর তার জামাইয়ের আগের অপকর্মগুলোই এখনো ভুলি নাই, আবার সে আসছে আমাকে খোচাতে। প্রতিদিন কোনো না কোনো উদ্যোক্তা কোনো না কোনো প্রোমোটার তার অপকর্মের বিরুদ্ধে পোস্ট দিচ্ছে, কিন্তু সে থামছে না—সবার সঙ্গে যা তা করেই যাচ্ছে। জুয়া খেলা থেকে শুরু করে রঙ ফর্সাকারী ক্রিম, এমন কিছু নাই যে সে টাকা পেলে প্রোমোট করে না।’

আমি নিজেকে ফেইক রেস্টুরেন্টের মালিক বলছি এটা প্রমাণ করতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়াতে চেহারা দেখাব না উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘সাহস থাকলে আমার নাম ধরে পোস্ট দেন, মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য কান ধরে উঠ বস করাবো। সবাইকে নিজের মতো ভাববেন না বেহায়া আপা, আমি পানির মতো স্বচ্ছ, পরিষ্কার, আমার ফেইক ভিউ দেখিয়ে মানুষের থেকে কাজ নিতে হয় না, কেউ আমাকে টাকা দিয়ে কিনতে পারে না।’

সবশেষে তিনি লিখেন, ‘যে অপকর্ম গুলো করেছেন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, আপনার বিরুদ্ধে ডাক দিলে কয়েকশ উদ্যোক্তা দাঁড়াবে, তখন পালানোর জায়গা পাবেন তো! এখন তো বাঁচানোর জন্য হাউন আংকেল নাই।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২০
Translate »

পালানোর জায়গা পাবেন তো! এখন তো হাউন আংকেল নাই: তনি

আপডেট : ০১:০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের আলোচিত দুই ইনফ্লুয়েন্সার বারিশ হক ও নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ঝগড়া যেন থামছেই না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি তনি। তবে পোস্টে কারো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ওই পোস্টে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি লিখেন, ‘আমি যখন লাইভ করতাম না, তখন আমার প্রতিষ্ঠান সানভিস বাই তনি মিনিমাম ১২/১৫ জন লাইভ প্রেজেন্টারের সঙ্গে কাজ করেছে, একজন কুখ্যাত মহিলা ছাড়া বাকি সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, তাদেরকে আমি অসম্ভব সম্মান করি, ভালোবাসি।

তিনি আরো লেখেন, ‘আমি অলওয়েজ বিশ্বাস করি এবং সব জায়গায়, সব ইন্টারভিউতে বলেছি—আমরা উদ্যোক্তারা ও প্রোমোটাররা একে অপরের পরিপূরক, একে অপরের বন্ধু। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে একটু-আকটু ঝামেলা হতেই পারে, ঘরে অনেকগুলো ভাই-বোন থাকলে তাদের মধ্যেও হয়।’

বাংলাদেশে অনলাইনে ৫০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘যারা নিজেকে লাইভ প্রেজেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এটা কিন্তু আপনাদের জন্য খুব বড় একটা জায়গা। এইবার আসি আসল কথায়, বাংলাদেশের একমাত্র তবলা বাদকের বৌ ইদুর আম্বানি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, কোনো মানুষকেই সে মানুষ মনে করে না, উদ্যোক্তা হোক আর লাইভ প্রেজেন্টার হোক সবাইকে তিনি খোচাবে, সবাই তার হাতের ফাঁকা দিয়ে পড়ে যায়—একটা মানুষের সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে না, শুধুমাত্র নায়িকাদের পা চাটা ছাড়া।

এই নারী উদ্যোক্তা আরো উল্লেখ করেন, ‘সে নিজেকে নম্বর ওয়ান ব্রান্ড প্রোমোটার হিসেবে পরিচয় করায়, আর অন্য প্রোমোটারদের মেয়াদোত্তীর্ণ বলে হেয় করে। কয়েকদিন আগে এক টকশোতে সে আমার সঙ্গে কোনো যুক্তিতেই পারে না, এবং উপস্থাপিকার প্রতিটা প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ আর অন্য প্রোমোটারদের ওপর সব দায় চাপিয়ে দেয়, যার ভিডিও আপনারা অলরেডি দেখেছেন। তখন আবার আপার জামাই আমার হাসব্যান্ডকে নিয়ে নোংরা ভাষায় পোস্ট দেয়, যা সবাই দেখেছেন।’

তিনি লিখেন, ‘রিসেন্টলি আমি একটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করি এবং এটার প্রোমোশন করি কারণ এটাতে ১০০০ মানুষের ক্যাপাসিটি, যেটাতে আমার ৪০% শেয়ার, এবং এটা ছাড়াও আমার আরো অন্য রেস্টুরেন্টেও শেয়ার আছে—যা নিয়ে আমি কোনোদিন শোঅফ করি নাই, কিন্তু এই আপা নিজে যেমন পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফেইক ঠিক তেমনি আমাকে নিয়ে পোস্ট দিয়ে লিখে—আমি নাকি রেস্টুরেন্টের ফেইক মালিক।
তার আর তার জামাইয়ের আগের অপকর্মগুলোই এখনো ভুলি নাই, আবার সে আসছে আমাকে খোচাতে। প্রতিদিন কোনো না কোনো উদ্যোক্তা কোনো না কোনো প্রোমোটার তার অপকর্মের বিরুদ্ধে পোস্ট দিচ্ছে, কিন্তু সে থামছে না—সবার সঙ্গে যা তা করেই যাচ্ছে। জুয়া খেলা থেকে শুরু করে রঙ ফর্সাকারী ক্রিম, এমন কিছু নাই যে সে টাকা পেলে প্রোমোট করে না।’

আমি নিজেকে ফেইক রেস্টুরেন্টের মালিক বলছি এটা প্রমাণ করতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়াতে চেহারা দেখাব না উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘সাহস থাকলে আমার নাম ধরে পোস্ট দেন, মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য কান ধরে উঠ বস করাবো। সবাইকে নিজের মতো ভাববেন না বেহায়া আপা, আমি পানির মতো স্বচ্ছ, পরিষ্কার, আমার ফেইক ভিউ দেখিয়ে মানুষের থেকে কাজ নিতে হয় না, কেউ আমাকে টাকা দিয়ে কিনতে পারে না।’

সবশেষে তিনি লিখেন, ‘যে অপকর্ম গুলো করেছেন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, আপনার বিরুদ্ধে ডাক দিলে কয়েকশ উদ্যোক্তা দাঁড়াবে, তখন পালানোর জায়গা পাবেন তো! এখন তো বাঁচানোর জন্য হাউন আংকেল নাই।’