London ০২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সর্প দংশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পটুয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর নিলেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ছোটবনগ্রামে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ পটুয়াখালীতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ রাজশাহীতে কর্মচারি ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন সিরাজগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে ডিলারশীপ বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উল্লাপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার পাবনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত, আহত ১ রাজশাহীতে সাবেক ডিবি হাসান কে গণপিটুনি

পটুয়াখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদকের অভিযান ।

মুহাম্মাদ রাকিব , পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পবিপ্রবি‘র শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা না করে প্রায় ২কোটি ৬০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।

গত রবিবার (১৭ আগষ্ট) সকাল ১১টায় দূর্ণীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপষ বিশ্বাস এর নেতৃত্বে একটি টিম পবিপ্রবিতে প্রবেশ করে তদন্ত কাজ শুরু করেন।

তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক পবিপ্রবি’র লোন শাখার পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট পদে দায়িত্বরত আবু সালেহ মো: ইছার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের লোনের কিস্তি বাবদ প্রায় ২কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে আমরা তদন্ত কাজ পরিচালনা করি। আমরা ইতিমধ্যে যে সকল তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাছাই করে দেখেছি অভিযুক্ত পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট আবু সালেহ মো: ইছা কর্মকর্তা কর্মচারীদের লোন পেমেন্টর বিপরীতে ব্যাংকের ভূয়া স্লিপ তৈরী করে পেমেন্ট দেখিয়ে থাকলেও ব্যাংককে পেমেন্ট না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে যার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। পবিপ্রবির একটি অডিট রিপোর্টে এমন ত্রুটি রা পরলে পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া কিছু টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন প্রাথমিক তদন্তে আমরা ভুক্তভোগীর নাম সংগ্রহ করেছি তারমধ্যে পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার হেলপার আবু জাফর সারে ৬ ছয় লক্ষ টাকা ভূয়া জমা স্লিপ দিয়ে জমা দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপষ বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট আবু সালেহ মো: ইছা সম্ভবত আমাদের আসার সংবাদ পেয়ে এখান থেকে চলে গেছেন। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি যা প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করবো। প্রধান কার্যালয় যেভাবে নির্দেশনা দিবে সেই অনুযায়ী আরো অধিকতার তদন্ত করবো।

পবিপ্রবি’র হিসাব শাখা সূত্রে জানাযায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি‘র শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী জিপিএফ‘র ১০% কর্তণের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার ৮৩০৫ চলতি হিসাব থেকে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোন চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উক্ত তহবিল থেকে লোন নিয়ে মোটরসাইকেল, কম্পিউটার ক্রয় করেন এবং শর্তানুসারে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেন। কেউ কেউ আবার লোন পরিশোধ করে পুনরায় টাকা বাড়িয়ে হালনাগাদ করে নেন। কিন্ত ওই শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেরে দেন। সম্প্রতি আভ্যন্তরীণ অডিট সেলের কাছে লোন ফান্ডের হিসাবের গরমিলের তথ্য ফাঁস হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদ্বয় নিজেদের ভুল স্বীকার করে ৩২লাখ টাকা জমাও দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্টার প্লানিং মোঃ খাইরুল বাসার মিয়া (নাসির) ১লাখ ৯৫হাজার টাকা, ফটো মেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লক্ষ টাকা, ফরিদা বেগম ঝাড়ুদার অডিট সেল ২লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলম ৭৬,৭২৪ টাকা, মাসুদ অফিস সহায়ক বাজেট শাখা ৩ লক্ষ টাকা এভাবে শতাধিক কর্মকতা কর্মচারির লোনের কিস্তি পরিশোধের ভূয়া রশিদে ২কোটি ৬০লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৬:২১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
১৯
Translate »

পটুয়াখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদকের অভিযান ।

আপডেট : ০৬:২১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

পবিপ্রবি‘র শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর লোনের কিস্তির টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা না করে প্রায় ২কোটি ৬০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।

গত রবিবার (১৭ আগষ্ট) সকাল ১১টায় দূর্ণীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপষ বিশ্বাস এর নেতৃত্বে একটি টিম পবিপ্রবিতে প্রবেশ করে তদন্ত কাজ শুরু করেন।

তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক পবিপ্রবি’র লোন শাখার পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট পদে দায়িত্বরত আবু সালেহ মো: ইছার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের লোনের কিস্তি বাবদ প্রায় ২কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে আমরা তদন্ত কাজ পরিচালনা করি। আমরা ইতিমধ্যে যে সকল তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাছাই করে দেখেছি অভিযুক্ত পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট আবু সালেহ মো: ইছা কর্মকর্তা কর্মচারীদের লোন পেমেন্টর বিপরীতে ব্যাংকের ভূয়া স্লিপ তৈরী করে পেমেন্ট দেখিয়ে থাকলেও ব্যাংককে পেমেন্ট না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে যার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। পবিপ্রবির একটি অডিট রিপোর্টে এমন ত্রুটি রা পরলে পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া কিছু টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন প্রাথমিক তদন্তে আমরা ভুক্তভোগীর নাম সংগ্রহ করেছি তারমধ্যে পরিবহন শাখার সেকশন অফিসার সবুর খান ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবহন শাখার হেলপার আবু জাফর সারে ৬ ছয় লক্ষ টাকা ভূয়া জমা স্লিপ দিয়ে জমা দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক পটুয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপষ বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত পেনশন বিভাগের উপ পরিচালক রাজিব মিয়া ও ল্যাব এটেন্ডেন্ট আবু সালেহ মো: ইছা সম্ভবত আমাদের আসার সংবাদ পেয়ে এখান থেকে চলে গেছেন। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি যা প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করবো। প্রধান কার্যালয় যেভাবে নির্দেশনা দিবে সেই অনুযায়ী আরো অধিকতার তদন্ত করবো।

পবিপ্রবি’র হিসাব শাখা সূত্রে জানাযায়, ২০১১ সাল থেকে পবিপ্রবি‘র শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী জিপিএফ‘র ১০% কর্তণের তহবিল থেকে রূপালী ব্যাংক পবিপ্রবি শাখার ৮৩০৫ চলতি হিসাব থেকে মোটরসাইকেল ও কম্পিউটার ক্রয় লোন চালু করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উক্ত তহবিল থেকে লোন নিয়ে মোটরসাইকেল, কম্পিউটার ক্রয় করেন এবং শর্তানুসারে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেন। কেউ কেউ আবার লোন পরিশোধ করে পুনরায় টাকা বাড়িয়ে হালনাগাদ করে নেন। কিন্ত ওই শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেরে দেন। সম্প্রতি আভ্যন্তরীণ অডিট সেলের কাছে লোন ফান্ডের হিসাবের গরমিলের তথ্য ফাঁস হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদ্বয় নিজেদের ভুল স্বীকার করে ৩২লাখ টাকা জমাও দিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, উপ-রেজিস্টার প্লানিং মোঃ খাইরুল বাসার মিয়া (নাসির) ১লাখ ৯৫হাজার টাকা, ফটো মেশিন অপারেটর শামীম খান ৩ লক্ষ টাকা, ফরিদা বেগম ঝাড়ুদার অডিট সেল ২লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার আলম ৭৬,৭২৪ টাকা, মাসুদ অফিস সহায়ক বাজেট শাখা ৩ লক্ষ টাকা এভাবে শতাধিক কর্মকতা কর্মচারির লোনের কিস্তি পরিশোধের ভূয়া রশিদে ২কোটি ৬০লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।