London ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়লেন উইলিয়ামসন

অনলাইন ডেস্ক

প্রোটিয়াদের ৩০৪ রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামসন যখন ক্রিজে এলেন, ৯.৫ ওভারে কিউইদের স্কোর ১ উইকেটে ৫০।

টিকে থাকার পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার চাপও ছিল। উইলিয়ামসন দুটোই করেছেন দারুণভাবে-২০১৯ সালের জুনের পর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭২ বলে, এরপর মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে।

এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও উঠল নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচের দুটোই জিতে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মিচেল স্যান্টনারের দল। একটি করে ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান এখনো পয়েন্ট পায়নি। জয়ের মুখ না দেখলেও রান রেটে এগিয়ে দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে পাকিস্তান।

বুধবার করাচিতে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। শুক্রবার করাচিতে ফাইনাল।

নিউজিল্যান্ডের ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে ‘নিউক্লিয়াস’ উইলিয়ামসনের ১১৩ বলে ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৯ বলের পর উইলিয়ামসনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।

ওয়ানডেতে ১৪তম, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৭তম-এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও ছুঁয়ে ফেললেন কিউই কিংবদন্তি। কী দারুণ ব্যাটিংটাই না করলেন!

উইল ইয়াং ১৯ রানে ফিরে যাওয়ায় দলীয় ৫০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ১৫৫ বলে ১৮৭ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের।

১০৭ বলে ৯৭ রান করা কনওয়ে ৩৫.৩ ওভারে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম উইলিয়ামসনকে ক্রিজে সঙ্গ দিতে পারেননি। মাঝে তিন ওভার পর টানা দুই বলে মিচেল ও ল্যাথামকে তুলে নেন প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরান মুথুস্বামী। নিউজিল্যান্ডের তখন ৬৯ বলে দরকার ৫৪ রান, হাতে ৬ উইকেট। সহজ লক্ষ্য, কিন্তু দ্রুত উইকেট পড়লে বিপদও হতে পারত। উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস মিলে তা হতে দেননি।

পঞ্চম উইকেটে ৬২ বলে ৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় তুলে নেন দুজন। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করাটা যেন উইলিয়ামসনের এই ‘মাস্টারক্লাস’ ইনিংসে প্রাপ্য ছিল। ওই চারেই ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে যান উইলিয়ামসন। ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ইনিংসটি সাজান উইলিয়ামসন। দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে রান উঠেছে মোট ৬১২। ওয়ানডেতে এই দুই দলের ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ মোট রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস এগিয়েছে তাদের অভিষিক্ত ওপেনার ম্যাথু ব্রিটকজের ১৫০ রানের ইনিংসে। ওয়ানডে অভিষেকে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। উইয়ান মুল্ডার খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। তিনে নামা জেসন স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রান।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৪
Translate »

নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে মাঠ ছাড়লেন উইলিয়ামসন

আপডেট : ০২:০৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রোটিয়াদের ৩০৪ রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামসন যখন ক্রিজে এলেন, ৯.৫ ওভারে কিউইদের স্কোর ১ উইকেটে ৫০।

টিকে থাকার পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার চাপও ছিল। উইলিয়ামসন দুটোই করেছেন দারুণভাবে-২০১৯ সালের জুনের পর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭২ বলে, এরপর মাঠ ছেড়েছেন ম্যাচ জিতিয়ে।

এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও উঠল নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচের দুটোই জিতে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মিচেল স্যান্টনারের দল। একটি করে ম্যাচ খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান এখনো পয়েন্ট পায়নি। জয়ের মুখ না দেখলেও রান রেটে এগিয়ে দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে পাকিস্তান।

বুধবার করাচিতে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। শুক্রবার করাচিতে ফাইনাল।

নিউজিল্যান্ডের ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে ‘নিউক্লিয়াস’ উইলিয়ামসনের ১১৩ বলে ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৯ বলের পর উইলিয়ামসনের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।

ওয়ানডেতে ১৪তম, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৭তম-এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও ছুঁয়ে ফেললেন কিউই কিংবদন্তি। কী দারুণ ব্যাটিংটাই না করলেন!

উইল ইয়াং ১৯ রানে ফিরে যাওয়ায় দলীয় ৫০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে ১৫৫ বলে ১৮৭ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের।

১০৭ বলে ৯৭ রান করা কনওয়ে ৩৫.৩ ওভারে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম উইলিয়ামসনকে ক্রিজে সঙ্গ দিতে পারেননি। মাঝে তিন ওভার পর টানা দুই বলে মিচেল ও ল্যাথামকে তুলে নেন প্রোটিয়া স্পিনার সেনুরান মুথুস্বামী। নিউজিল্যান্ডের তখন ৬৯ বলে দরকার ৫৪ রান, হাতে ৬ উইকেট। সহজ লক্ষ্য, কিন্তু দ্রুত উইকেট পড়লে বিপদও হতে পারত। উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস মিলে তা হতে দেননি।

পঞ্চম উইকেটে ৬২ বলে ৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় তুলে নেন দুজন। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করাটা যেন উইলিয়ামসনের এই ‘মাস্টারক্লাস’ ইনিংসে প্রাপ্য ছিল। ওই চারেই ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে যান উইলিয়ামসন। ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ইনিংসটি সাজান উইলিয়ামসন। দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে রান উঠেছে মোট ৬১২। ওয়ানডেতে এই দুই দলের ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ মোট রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং করা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস এগিয়েছে তাদের অভিষিক্ত ওপেনার ম্যাথু ব্রিটকজের ১৫০ রানের ইনিংসে। ওয়ানডে অভিষেকে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। উইয়ান মুল্ডার খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। তিনে নামা জেসন স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রান।