London ১১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারাবির তিলাওয়াতে আজ

তওবা করুন আজাব চলে আসার আগেই

অনলাইন ডেস্ক

আজ (২১ মার্চ) ২০ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ২১তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২৪ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা যুমারের কিছু অংশ, সুরা মুমিন ও সুরা হা-মীম সিজদার দুই ‍তৃতীয়াংশ।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. কোনো গুনাহ বা অপরাধ হয়ে গেলে দ্রুত অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। তওবা করা উচিত। তওবা না করে পাপাচারের পথে চলতে থাকলে হতে পারে তওবা করার আগেই আল্লাহ তাআলার শাস্তি চলে আসবে। তখন আর তওবা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের ওপর আজাব আসার পূর্বেই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ কর। আজাব আসার পরে তোমাদেরকে আর সাহায্য করা হবে না। (সুরা যুমার: ৫৪)

২. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য এক আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা এবং আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞ ও অনুগত বান্দা হওয়া। কেউ যদি শিরকে লিপ্ত হয়, তাহলে তার সমস্ত নেক আমল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই শিরকের ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহি পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও। (সুরা যুমার: ৬৫, ৬৬)

৩. আল্লাহ তাআলা রাজ্জাক। তিনিই সৃষ্টিকুলের রিজিকের মালিক। তাই রিজিকের জন্য শুধু তাঁর কাছেই প্রার্থনা করা আমাদের কর্তব্য। অন্য কাউকে রিজিকের মালিক সাব্যস্ত করে, অন্য কারো কাছে রিজিক প্রার্থনা করে আমরা যেন শিরকের মতো ভয়াবহ পাপে লিপ্ত না হই। আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিজিক পাঠান। আর যে আল্লাহ অভিমুখী সেই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ডাক, তাঁর উদ্দেশ্যে দীনকে একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত করে যদিও কাফেররা অপছন্দ করে। (সুরা মুমিন: ১৩, ১৪)

৪. চাঁদ, সূর্য ও সব গ্রহ-নক্ষত্র আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি ও তাঁর কুদরতের নিদর্শন। এগুলোর নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। কারো লাভ বা ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই। আল্লাহ তাআলার নির্দেশেই এরা পরিচালিত হয়। তাই এগুলোর কাছে প্রার্থনা না করে, এগুলোর উপাসনা না করে এক আল্লাহর উপসনা করা কর্তব্য যিনি এই চন্দ্র-সূর্যের সৃষ্টিকর্তা, আমাদেরও সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ । তোমরা না সূর্যকে সিজদা করবে, না চাঁদকে। তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন। (সুরা হা-মীম সিজদা: ৩৭)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
১৩
Translate »

তারাবির তিলাওয়াতে আজ

তওবা করুন আজাব চলে আসার আগেই

আপডেট : ১১:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

আজ (২১ মার্চ) ২০ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ২১তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২৪ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা যুমারের কিছু অংশ, সুরা মুমিন ও সুরা হা-মীম সিজদার দুই ‍তৃতীয়াংশ।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. কোনো গুনাহ বা অপরাধ হয়ে গেলে দ্রুত অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। তওবা করা উচিত। তওবা না করে পাপাচারের পথে চলতে থাকলে হতে পারে তওবা করার আগেই আল্লাহ তাআলার শাস্তি চলে আসবে। তখন আর তওবা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের ওপর আজাব আসার পূর্বেই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ কর। আজাব আসার পরে তোমাদেরকে আর সাহায্য করা হবে না। (সুরা যুমার: ৫৪)

২. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য এক আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা এবং আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞ ও অনুগত বান্দা হওয়া। কেউ যদি শিরকে লিপ্ত হয়, তাহলে তার সমস্ত নেক আমল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই শিরকের ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহি পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। বরং তুমি আল্লাহরই ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও। (সুরা যুমার: ৬৫, ৬৬)

৩. আল্লাহ তাআলা রাজ্জাক। তিনিই সৃষ্টিকুলের রিজিকের মালিক। তাই রিজিকের জন্য শুধু তাঁর কাছেই প্রার্থনা করা আমাদের কর্তব্য। অন্য কাউকে রিজিকের মালিক সাব্যস্ত করে, অন্য কারো কাছে রিজিক প্রার্থনা করে আমরা যেন শিরকের মতো ভয়াবহ পাপে লিপ্ত না হই। আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্য রিজিক পাঠান। আর যে আল্লাহ অভিমুখী সেই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ডাক, তাঁর উদ্দেশ্যে দীনকে একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত করে যদিও কাফেররা অপছন্দ করে। (সুরা মুমিন: ১৩, ১৪)

৪. চাঁদ, সূর্য ও সব গ্রহ-নক্ষত্র আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি ও তাঁর কুদরতের নিদর্শন। এগুলোর নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। কারো লাভ বা ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই। আল্লাহ তাআলার নির্দেশেই এরা পরিচালিত হয়। তাই এগুলোর কাছে প্রার্থনা না করে, এগুলোর উপাসনা না করে এক আল্লাহর উপসনা করা কর্তব্য যিনি এই চন্দ্র-সূর্যের সৃষ্টিকর্তা, আমাদেরও সৃষ্টিকর্তা। আল্লাহ তাআলা বলেন, তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চাঁদ । তোমরা না সূর্যকে সিজদা করবে, না চাঁদকে। তোমরা আল্লাহকে সিজদা কর যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন। (সুরা হা-মীম সিজদা: ৩৭)