London ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার যানজট: খাল সংস্কার করে নৌপথ তৈরিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ প্রস্তাব

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটিছবি:

রাজধানীর যানজট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটি।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেন কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—ঢাকা শহরের ভেতরে ও চারপাশে যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নৌপথ সচল করা; চারপাশের নদীঘেঁষে ট্রাম রোড বা সংক্ষিপ্ত রেলপথ তৈরি এবং ওই রেলপথ ঘেঁষে চক্রাকার সড়ক নির্মাণ।

ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা গেলে মানুষ এ শহরের ভেতরে প্রবেশ না করেও এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ—দুটোই কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা গেলে মানুষ এ শহরের ভেতরে প্রবেশ না করেও এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ—দুটোই কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।

যানজটে স্থবির রাজধানীর বনানী এলাকার একটি সড়ক

যানজটে স্থবির রাজধানীর বনানী এলাকার একটি সড়কফাইল ছবি

যানজট নিরসনে অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ঢাকার অভ্যন্তরে থাকা বাস টার্মিনালগুলোর স্থানান্তর, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইন উড়ালপথে করা অথবা প্রতিটি রেলক্রসিং বাইপাস করে দেওয়া, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর দুটি অঞ্চলে ভাগ করে কারাগার ও আদালত ভবন এক জায়গায় করা, ঢাকা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যের বিভিন্ন জেলায় রেলপথ চালু করা।

এ ছাড়া ঢাকার ভেতরের ফুটপাত ও সড়কগুলো হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলমুক্ত করা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্রাফিক–ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, নগর পরিবহন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে ব্যক্তিগত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ করার পরিবর্তে উৎপাদন খাতে তা সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

প্রস্তাবগুলো লিখিত বক্তব্য আকারে তুলে ধরে কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে ২০১০ সালেও সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সরকার এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি, যে কারণে আজও রাজধানীতে যানজট রয়ে গেছে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

ঢাকা যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নযোগ্য, প্রয়োজন সদিচ্ছার। এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে ঢাকার যানজট নিরসন কমিটির সদস্যরা এ কাজে সরকারকে সহায়তা করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে কমিটির উপদেষ্টা জহরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন আহমেদ, এস এম সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৯:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
৪৬
Translate »

ঢাকার যানজট: খাল সংস্কার করে নৌপথ তৈরিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ প্রস্তাব

আপডেট : ০৯:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটিছবি:

রাজধানীর যানজট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটি।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেন কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল।

প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—ঢাকা শহরের ভেতরে ও চারপাশে যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নৌপথ সচল করা; চারপাশের নদীঘেঁষে ট্রাম রোড বা সংক্ষিপ্ত রেলপথ তৈরি এবং ওই রেলপথ ঘেঁষে চক্রাকার সড়ক নির্মাণ।

ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা গেলে মানুষ এ শহরের ভেতরে প্রবেশ না করেও এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ—দুটোই কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা গেলে মানুষ এ শহরের ভেতরে প্রবেশ না করেও এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে পারবেন। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ—দুটোই কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।

যানজটে স্থবির রাজধানীর বনানী এলাকার একটি সড়ক

যানজটে স্থবির রাজধানীর বনানী এলাকার একটি সড়কফাইল ছবি

যানজট নিরসনে অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ঢাকার অভ্যন্তরে থাকা বাস টার্মিনালগুলোর স্থানান্তর, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইন উড়ালপথে করা অথবা প্রতিটি রেলক্রসিং বাইপাস করে দেওয়া, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর দুটি অঞ্চলে ভাগ করে কারাগার ও আদালত ভবন এক জায়গায় করা, ঢাকা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যের বিভিন্ন জেলায় রেলপথ চালু করা।

এ ছাড়া ঢাকার ভেতরের ফুটপাত ও সড়কগুলো হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলমুক্ত করা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্রাফিক–ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, নগর পরিবহন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে ব্যক্তিগত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ করার পরিবর্তে উৎপাদন খাতে তা সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

প্রস্তাবগুলো লিখিত বক্তব্য আকারে তুলে ধরে কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে ২০১০ সালেও সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সরকার এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি, যে কারণে আজও রাজধানীতে যানজট রয়ে গেছে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।

ঢাকা যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নযোগ্য, প্রয়োজন সদিচ্ছার। এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে ঢাকার যানজট নিরসন কমিটির সদস্যরা এ কাজে সরকারকে সহায়তা করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে কমিটির উপদেষ্টা জহরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন আহমেদ, এস এম সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।