London ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত নেত্রকোনা সীমান্তে টংক আন্দোলনের নেত্রী রাশি মণি’র হাজংয়ের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত ফরিদপুরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা বিয়ে করলেন সারজিস আলম টিকটকে আসক্ত মেয়েকে গুলি করে হত্যা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ প্লে-অফেই রিয়াল-সিটি লড়াই, বাকি ম্যাচে কে কার প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের মঞ্চে কোমর ধরে তরুণীকে কাছে টেনে ফ্লার্টিং শাহরুখের! ভিডিও ভাইরাল ১৪ সেকেন্ডের দুষ্টু ভঙ্গির ভিডিওতে ঝড় তুললেন পরীমণি!

টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর

মাহমুদউল্লাহ

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, ২০২১ সালের জুলাই মাসে। তুমুল আলোচিত সেই অবসর। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, হারারে টেস্টের মাঝপথে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের গার্ড অব অনার দিতে দেখে সবাইকে যা অনুমান করে নিতে হয়েছে। এরপর অনেক দিন মাহমুদউল্লাহ কিছু বলেননি। সেই অবসর নিয়ে রীতিমতো একটা রহস্যের জন্ম হয়েছিল।

টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে এমন কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় নেননি মাহমুদউল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচের আগে আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এই সিরিজ শেষেই টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনই ছাড়ছেন না। ওয়ানডে খেলে যেতে চান আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।


ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেললে বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সেদিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।

বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ এই সিরিজ শুরুর আগেই সিদ্ধান্তটা মাহমুদউল্লাহ নিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম ম্যাচের পরই বিসিবিকে যা জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিবিও মাঠ থেকে বিদায় নিতে চাওয়ার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাকি দুই ম্যাচ খেললে তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হবে ১৪১ ম্যাচ খেলে। এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে মাত্র দুজনের।

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ও মাহমুদউল্লাহর। তবে এই রেকর্ডের একজন ভাগীদার আছেন। তাঁর সমান ১৬টি জয় পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও।

ক্যারিয়ারের সর্বশেষ পাঁচ–ছয় বছরে বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি দলে খেলেছেন ফিনিশারের ভূমিকায়। যে নামের সার্থকতা সবচেয়ে বেশি প্রমাণ করেছিলেন ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে। ফাইনালে উঠতে জিততেই হবে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন এক স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল স্মরণীয় এক জয়। শেষ চার বলে ১২ রান লাগে—এমন পরিস্থিতিতে পরের তিন বলেই খেলা শেষ করে দেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বলে ৪ ও ২ রান, পরের বলে ছক্কা! মাহমুদউল্লাহ টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস এটাই হওয়ার কথা।

সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখেই কথা বললেন মাহমুদউল্লাহ

সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখেই কথা বললেন মাহমুদউল্লাহ

হয়তো কাছাকাছি থাকবে গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই অপরাজিত ১৬। রানসংখ্যা যে ইনিংসের মহিমা বোঝাতে ব্যর্থ। ১৮তম ওভারে পরপর ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ৮ উইকেট নেই। শেষ দুই ওভারে লাগে ১১ রান। ১৯তম ওভারে শানাকার প্রথম বলেই ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ, ম্যাচ শেষ করে দেন সেই ওভারেই। বাংলাদেশের সুপার এইটে ওঠায় বড় ভূমিকা রাখে ওই জয়।

টি–টোয়েন্টির মাহমুদউল্লাহর কথা বললে এই দুটি ইনিংসই হয়তো বেশি মনে পড়ে। এর সঙ্গে আরও কিছু যোগ করার সুযোগ থাকছেই। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যদি খেলেন, শেষটাকে নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়েই ব্যাটিং করতে নামবেন মাহমুদউল্লাহ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
৪৫
Translate »

টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর

আপডেট : ১১:২৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

মাহমুদউল্লাহ

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, ২০২১ সালের জুলাই মাসে। তুমুল আলোচিত সেই অবসর। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, হারারে টেস্টের মাঝপথে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের গার্ড অব অনার দিতে দেখে সবাইকে যা অনুমান করে নিতে হয়েছে। এরপর অনেক দিন মাহমুদউল্লাহ কিছু বলেননি। সেই অবসর নিয়ে রীতিমতো একটা রহস্যের জন্ম হয়েছিল।

টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে এমন কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় নেননি মাহমুদউল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচের আগে আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এই সিরিজ শেষেই টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনই ছাড়ছেন না। ওয়ানডে খেলে যেতে চান আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।


ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেললে বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদউল্লাহ শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সেদিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।

বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।

৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ এই সিরিজ শুরুর আগেই সিদ্ধান্তটা মাহমুদউল্লাহ নিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম ম্যাচের পরই বিসিবিকে যা জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিবিও মাঠ থেকে বিদায় নিতে চাওয়ার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাকি দুই ম্যাচ খেললে তাঁর টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শেষ হবে ১৪১ ম্যাচ খেলে। এর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে মাত্র দুজনের।

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ

দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও তাঁর। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ও মাহমুদউল্লাহর। তবে এই রেকর্ডের একজন ভাগীদার আছেন। তাঁর সমান ১৬টি জয় পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও।

ক্যারিয়ারের সর্বশেষ পাঁচ–ছয় বছরে বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি দলে খেলেছেন ফিনিশারের ভূমিকায়। যে নামের সার্থকতা সবচেয়ে বেশি প্রমাণ করেছিলেন ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে। ফাইনালে উঠতে জিততেই হবে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন এক স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল স্মরণীয় এক জয়। শেষ চার বলে ১২ রান লাগে—এমন পরিস্থিতিতে পরের তিন বলেই খেলা শেষ করে দেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দুই বলে ৪ ও ২ রান, পরের বলে ছক্কা! মাহমুদউল্লাহ টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস এটাই হওয়ার কথা।

সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখেই কথা বললেন মাহমুদউল্লাহ

সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখেই কথা বললেন মাহমুদউল্লাহ

হয়তো কাছাকাছি থাকবে গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই অপরাজিত ১৬। রানসংখ্যা যে ইনিংসের মহিমা বোঝাতে ব্যর্থ। ১৮তম ওভারে পরপর ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ৮ উইকেট নেই। শেষ দুই ওভারে লাগে ১১ রান। ১৯তম ওভারে শানাকার প্রথম বলেই ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ, ম্যাচ শেষ করে দেন সেই ওভারেই। বাংলাদেশের সুপার এইটে ওঠায় বড় ভূমিকা রাখে ওই জয়।

টি–টোয়েন্টির মাহমুদউল্লাহর কথা বললে এই দুটি ইনিংসই হয়তো বেশি মনে পড়ে। এর সঙ্গে আরও কিছু যোগ করার সুযোগ থাকছেই। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যদি খেলেন, শেষটাকে নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখার প্রতিজ্ঞা নিয়েই ব্যাটিং করতে নামবেন মাহমুদউল্লাহ।