London ১২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার মদনে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা পাঁচ মাদক কারবারি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন

টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলছে চরম ভোগান্তি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচির আওতায় সাধারণ উন্নয়ন খাতে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে দেখানো হলেও বাস্তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রবেশের মতো কোনো সড়ক নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের কাঁদা-জল নিচু জমির উপর ভরসা। বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও ভয়াবহ। অথচ বরাদ্দকৃত অর্থ তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- এমনটি দেখানো হয়েছে অফিসিয়াল রেকর্ডে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি আজামুদ্দীন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারকে ‘ম্যানেজ’ করে সরকারি বরাদ্দ হাতিয়ে নিয়েছেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের একাধিক পরিবার বলেন— “আমাদের আসলে কোনো রাস্তা নেই। হেঁটে চলাও কষ্টকর, বিশেষ করে বাচ্চা আর অসুস্থ মানুষ নিয়ে চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তা ছাড়া আমরা যেন বন্দী হয়ে আছি।তারা আরো বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মেন রাস্তা থেকে একটু দূরে অন্যের জমির উপর দিয়ে আসতে হয়।জমির মালিক গণ মাঝে মধ্যে বাসের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়।আমাদের রাস্তা একান্ত প্রয়োজন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি আজামুদ্দীন জানান—রাস্তা সংস্কারের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু আমরা হাতে পাই মাত্র ৭৫ হাজার টাকা। সেই টাকায় কাজ করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মুনিরুল ইসলাম বলেন—এটি আমার পূর্ববর্তী কর্মকর্তার আমলে হয়েছে। আমি বিষয়টি জানি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন—এটি আমার দায়িত্বকালীন সময়ে হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রকল্পের জন্য একটি সুষ্ঠু রাস্তা নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Translate »

টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই

আপডেট : ০৩:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলছে চরম ভোগান্তি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচির আওতায় সাধারণ উন্নয়ন খাতে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে দেখানো হলেও বাস্তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রবেশের মতো কোনো সড়ক নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের কাঁদা-জল নিচু জমির উপর ভরসা। বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও ভয়াবহ। অথচ বরাদ্দকৃত অর্থ তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- এমনটি দেখানো হয়েছে অফিসিয়াল রেকর্ডে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি আজামুদ্দীন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারকে ‘ম্যানেজ’ করে সরকারি বরাদ্দ হাতিয়ে নিয়েছেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের একাধিক পরিবার বলেন— “আমাদের আসলে কোনো রাস্তা নেই। হেঁটে চলাও কষ্টকর, বিশেষ করে বাচ্চা আর অসুস্থ মানুষ নিয়ে চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তা ছাড়া আমরা যেন বন্দী হয়ে আছি।তারা আরো বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মেন রাস্তা থেকে একটু দূরে অন্যের জমির উপর দিয়ে আসতে হয়।জমির মালিক গণ মাঝে মধ্যে বাসের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়।আমাদের রাস্তা একান্ত প্রয়োজন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি আজামুদ্দীন জানান—রাস্তা সংস্কারের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু আমরা হাতে পাই মাত্র ৭৫ হাজার টাকা। সেই টাকায় কাজ করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মুনিরুল ইসলাম বলেন—এটি আমার পূর্ববর্তী কর্মকর্তার আমলে হয়েছে। আমি বিষয়টি জানি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন—এটি আমার দায়িত্বকালীন সময়ে হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তারা প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রকল্পের জন্য একটি সুষ্ঠু রাস্তা নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।