London ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

‘জিবলি’ বানিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

অনলাইন ডেস্ক:

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে এআইয়ের নতুন ধরনের এক ইমেজ। যার নাম জিবলি (Ghibli)। ইনফ্লুয়েন্সার থেকে তারকা সবাই মেতেছে এই ছবি তৈরিতে। নিজেদের নানান ছবি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জুলাই আন্দোলন সহ নানান সময়ের বিশেষ বিশেষ ঘটনার জিবলি স্টাইল ছবি দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ববিখ্যাত জাপানি শিল্পী হায়াও মিয়াজাকির অনবদ্য সৃষ্টি জিবলি স্টুডিওর অ্যানিমেশনের আদলে যে কোনো ছবিকেই বদলে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি বা গ্রক এআইয়ের মত প্ল্যাটফর্মগুলো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে আপনার সাধারণ ছবি নিমেষের মধ্যে কার্টুন ছবিতে পরিণত হচ্ছে।

সমাজিক মাধ্যমে এই জিবলি আর্টে মজেছে আট থেকে আশি সবাই। সবাই নিজের কিংবা প্রিয়জনের ছবি জিবলি বানাচ্ছেন। কিন্তু স্রোতে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? কোনো হ্যাকারের ফাঁদে পা দিতে যাচ্ছেন না তো? এই জিবলি ট্রেন্ড কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে খেয়াল রাখছেন তো?

 

জিবলি আর্ট তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ফেলছেন নেটিজেনরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই জিবলি ইমেজের মেন সার্ভার রয়েছে আমেরিকায়। তবে এই বিপুল পরিমাণ ছবি বা তথ্য কোন সার্ভারে গিয়ে জমা হচ্ছে তা এখনো অজানা। ফলে অজান্তেই ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে অন্য কারো হাতে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ডিপফেক, ফেক পর্নোগ্রাফি এমনকি ডার্ক ওয়েবেও বিক্রি হতে পারে ব্যক্তিগত ছবি। যে কোনো মুহূর্তে সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারেন আপনি।

পরিসংখ্যান বলছে এই কার্টুন ইমেজ তৈরির জন্য সম্প্রতি ১০ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে এআই মাধ্যমে। মাত্র ৩০ ঘণ্টায় ১ কোটি ছবি আপলোড করা হয়েছে সার্ভারে। তাহলে কত মানুষের তথ্য, ছবি এআইয়ের কাছে আছে বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।

এরা বট টেকনোলজিতে বিশ্বাস করে যার অর্থ বিল্ড অপারেট দেন ট্রান্সফার। প্রথমে আপনার সম্পর্কে ধীরে ধীরে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, একে বলে বিল্ড। তারপর সেটিকে অপারেট করব বা অ্যানালাইসিস করা হবে যে এই ব্যক্তি কোথায় থাকেন, পরিবারে কে কে আছেন ইত্যাদি। আর শেষে ডাটা ট্রান্সফার করা হবে যাতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। বলা যায় স্বেচ্ছায় আপনি এই বিপদ ডেকে আনছেন। যার জন্য অন্য কেউ নয় ব্যবহারকারী নিজেই দায়ী।

সূত্র: এবিপি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
১৩
Translate »

‘জিবলি’ বানিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

আপডেট : ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে এআইয়ের নতুন ধরনের এক ইমেজ। যার নাম জিবলি (Ghibli)। ইনফ্লুয়েন্সার থেকে তারকা সবাই মেতেছে এই ছবি তৈরিতে। নিজেদের নানান ছবি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জুলাই আন্দোলন সহ নানান সময়ের বিশেষ বিশেষ ঘটনার জিবলি স্টাইল ছবি দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ববিখ্যাত জাপানি শিল্পী হায়াও মিয়াজাকির অনবদ্য সৃষ্টি জিবলি স্টুডিওর অ্যানিমেশনের আদলে যে কোনো ছবিকেই বদলে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি বা গ্রক এআইয়ের মত প্ল্যাটফর্মগুলো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে আপনার সাধারণ ছবি নিমেষের মধ্যে কার্টুন ছবিতে পরিণত হচ্ছে।

সমাজিক মাধ্যমে এই জিবলি আর্টে মজেছে আট থেকে আশি সবাই। সবাই নিজের কিংবা প্রিয়জনের ছবি জিবলি বানাচ্ছেন। কিন্তু স্রোতে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? কোনো হ্যাকারের ফাঁদে পা দিতে যাচ্ছেন না তো? এই জিবলি ট্রেন্ড কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে খেয়াল রাখছেন তো?

 

জিবলি আর্ট তৈরি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে ফেলছেন নেটিজেনরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই জিবলি ইমেজের মেন সার্ভার রয়েছে আমেরিকায়। তবে এই বিপুল পরিমাণ ছবি বা তথ্য কোন সার্ভারে গিয়ে জমা হচ্ছে তা এখনো অজানা। ফলে অজান্তেই ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে অন্য কারো হাতে।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ডিপফেক, ফেক পর্নোগ্রাফি এমনকি ডার্ক ওয়েবেও বিক্রি হতে পারে ব্যক্তিগত ছবি। যে কোনো মুহূর্তে সাইবার অপরাধের শিকার হতে পারেন আপনি।

পরিসংখ্যান বলছে এই কার্টুন ইমেজ তৈরির জন্য সম্প্রতি ১০ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে এআই মাধ্যমে। মাত্র ৩০ ঘণ্টায় ১ কোটি ছবি আপলোড করা হয়েছে সার্ভারে। তাহলে কত মানুষের তথ্য, ছবি এআইয়ের কাছে আছে বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।

এরা বট টেকনোলজিতে বিশ্বাস করে যার অর্থ বিল্ড অপারেট দেন ট্রান্সফার। প্রথমে আপনার সম্পর্কে ধীরে ধীরে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, একে বলে বিল্ড। তারপর সেটিকে অপারেট করব বা অ্যানালাইসিস করা হবে যে এই ব্যক্তি কোথায় থাকেন, পরিবারে কে কে আছেন ইত্যাদি। আর শেষে ডাটা ট্রান্সফার করা হবে যাতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। বলা যায় স্বেচ্ছায় আপনি এই বিপদ ডেকে আনছেন। যার জন্য অন্য কেউ নয় ব্যবহারকারী নিজেই দায়ী।

সূত্র: এবিপি