London ১১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে শ্বশুর নিহত পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাবিতে তালা ভেংগে মনোনয়নপত্র বিতরণ কালিয়াকৈরে পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা নেত্রকোণায় বিএনপি নেতাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা,পাল্টা হামলায় নিহত আরো ২ সিরাজগঞ্জ শহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ওএমএস ডিলারের চাল ও নগদ টাকা লুট রজব আলী মেমোরিয়াল বিজ্ঞান কলেজে বিএনপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও নবনির্বাচিত সভাপতিকে সংবর্ধনা রাজশাহীতে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

পটুয়াখালী,জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ০৬ নং ছোট নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাদিজা বেগম।

আহত খাদিজা বেগম জানান, গত জুন মাসের ২৫ তারিখ সন্ত্রাসী মাসুদ, মারুফ, শাহিন খা, রহিম খা, কামাল, ইদ্রিস মোল্লা, চুন্নু মৃধা, আলামিন মৃধা, সজিব মৃধা, হাসান মৃধা, হামিদা, শিল্পী, শাহজাহান আকন, শহিদুল আকন, মোস্তফা হাওলাদার এবং তাদের কতৃক ভাড়া করে আনা ১০ -১২ জন সন্ত্রাসীরা রাতে আমাদের পুকুর পাড়ে গাছপালা কেটে ঘর তৈরি করে। আমার স্বামী টের পেয়ে ডাক দিলে তারা আমার স্বামী কে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আমরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে জানালে তালতলী থানার এস আই জহুরুল ইসলাম এসে জমির কাগজপত্র নিয়ে পরদিন থানায় যেতে বলে পরে আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে প্রশাসন কাগজপত্র দেখে তাদের তৈরি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যেতে বলে আমাদেরকে মিলিয়ে দিয়েছিল। এর পরদিনই প্রতিপক্ষের হামিদা বেগম বাদী হয়ে আমার স্বামী সিদ্দিক খা কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ গত ৩০ শে আগষ্ট ২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার সময় আমি এবং আমার মেয়ে সাদিয়া পুকুর পাড়ে থালা বাসন ধোয়ার জন্য গেলে আমি ও আমার মেয়ের ওপর শাহিন, ভাড়াটে সন্ত্রাসী ইদ্রিস মোল্লাসহ ১০-১২ দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, বগি, ছেনা, রড দিয়ে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। আমার মাথার ওপর সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপ দিলে আমি বেহুশ হয়ে যাই। পরে তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে আমাকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আমি বরগুনা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এর কাছে এর বিচার চাই।

আহত খাদিজা বেগম এর মেয়ে আমেনা বেগম জানান, শাহিন খা, আবদুর রহিম, মাসুদ, মারুফ আমার মা ও বোনের ওপর হামলা করেছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত মাসুদ , মারুফ, বায়জিদ এখনও আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে । মাসুদ, মারুফ, বায়জিদ সহ আরো ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা আমার বাবা ও বোনদের হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে যদি তারা কোনো প্রকার কথা বলে তবে মেয়েদের কে পাচার করে দিবে তাদের কারনে আমি সহ আমার বোনেরা লেখাপড়া করতে পারিনি কলেজে গেলে নিয়মিত ইভটিজিং করত মাসুদ, মারুফ বায়জিদ, রহিম খা ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৩০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Translate »

জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা

আপডেট : ০১:৩০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ০৬ নং ছোট নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মেনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খাদিজা বেগম।

আহত খাদিজা বেগম জানান, গত জুন মাসের ২৫ তারিখ সন্ত্রাসী মাসুদ, মারুফ, শাহিন খা, রহিম খা, কামাল, ইদ্রিস মোল্লা, চুন্নু মৃধা, আলামিন মৃধা, সজিব মৃধা, হাসান মৃধা, হামিদা, শিল্পী, শাহজাহান আকন, শহিদুল আকন, মোস্তফা হাওলাদার এবং তাদের কতৃক ভাড়া করে আনা ১০ -১২ জন সন্ত্রাসীরা রাতে আমাদের পুকুর পাড়ে গাছপালা কেটে ঘর তৈরি করে। আমার স্বামী টের পেয়ে ডাক দিলে তারা আমার স্বামী কে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আমরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে জানালে তালতলী থানার এস আই জহুরুল ইসলাম এসে জমির কাগজপত্র নিয়ে পরদিন থানায় যেতে বলে পরে আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে প্রশাসন কাগজপত্র দেখে তাদের তৈরি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যেতে বলে আমাদেরকে মিলিয়ে দিয়েছিল। এর পরদিনই প্রতিপক্ষের হামিদা বেগম বাদী হয়ে আমার স্বামী সিদ্দিক খা কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ গত ৩০ শে আগষ্ট ২০২৫ ইং রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার সময় আমি এবং আমার মেয়ে সাদিয়া পুকুর পাড়ে থালা বাসন ধোয়ার জন্য গেলে আমি ও আমার মেয়ের ওপর শাহিন, ভাড়াটে সন্ত্রাসী ইদ্রিস মোল্লাসহ ১০-১২ দেশীয় অস্ত্র দা, রামদা, বগি, ছেনা, রড দিয়ে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। আমার মাথার ওপর সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপ দিলে আমি বেহুশ হয়ে যাই। পরে তালতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে আমাকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আমি বরগুনা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এর কাছে এর বিচার চাই।

আহত খাদিজা বেগম এর মেয়ে আমেনা বেগম জানান, শাহিন খা, আবদুর রহিম, মাসুদ, মারুফ আমার মা ও বোনের ওপর হামলা করেছে। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত মাসুদ , মারুফ, বায়জিদ এখনও আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে । মাসুদ, মারুফ, বায়জিদ সহ আরো ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা আমার বাবা ও বোনদের হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে যদি তারা কোনো প্রকার কথা বলে তবে মেয়েদের কে পাচার করে দিবে তাদের কারনে আমি সহ আমার বোনেরা লেখাপড়া করতে পারিনি কলেজে গেলে নিয়মিত ইভটিজিং করত মাসুদ, মারুফ বায়জিদ, রহিম খা ।