London ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ছোট বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু আলফাডাঙ্গায় যুবদল নেতার চাদার দাবিতে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি, দোকানে হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ ঈদ শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫ লেশিয়ারা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় প্রাক্তনদের মিলনমেলা এতিম, প্রতিব‌ন্ধিদের মা‌ঝে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন‌ের গোশত বিতরণ নির্বাচন অনতিবিলম্বে অনুষ্ঠিত হতে আমাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে হবে : দিবালোক সিংহ কালকিনিতে নেতাকর্মী ও জনগনের সঙ্গে বিএনপি নেতার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ ক‌রে‌ছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন রাজশাহীতে পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্ক বিজিবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কসবা পৌর জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ঘরে শিশুর মুখবাঁধা মরদেহ, পরিবারের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাদারীপুরে বসতঘর থেকে মুখে গামছাবাঁধা অবস্থায় তিশা আক্তার (১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নিহত তিশা ওই গ্রামের ভ্যানচালক মিলন শেখের মেয়ে। সে নয়াকান্দি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশাকে ডাক দিলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে শোকেসের পাশে মুখবাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সম্পা রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিশার মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিশ করছিলাম। এ সময় বাচ্চাটা কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে যাই এবং মেজ মেয়ে তিশাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেট আটকানো। ঘরে ঢুকেই দেখি শোকেসের পাশে মুখে গামছাবাঁধা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৯:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
৪৩
Translate »

ঘরে শিশুর মুখবাঁধা মরদেহ, পরিবারের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা

আপডেট : ০৯:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদারীপুরে বসতঘর থেকে মুখে গামছাবাঁধা অবস্থায় তিশা আক্তার (১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজৈর উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নিহত তিশা ওই গ্রামের ভ্যানচালক মিলন শেখের মেয়ে। সে নয়াকান্দি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যায় ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশাকে ডাক দিলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে শোকেসের পাশে মুখবাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শাহিনুরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সম্পা রায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিশার মা শাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিশ করছিলাম। এ সময় বাচ্চাটা কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে যাই এবং মেজ মেয়ে তিশাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেট আটকানো। ঘরে ঢুকেই দেখি শোকেসের পাশে মুখে গামছাবাঁধা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস রায় জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত চলছে। হত্যা না আত্মহত্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’