গরিব-মেহনতি মানুষের জীবিকা নিয়ে এমন নিষ্ঠুরতা কেন?

এভাবে গরিব ও পরিশ্রমী মানুষদের কষ্ট দেওয়া অত্যন্ত অনুচিত। যদি রাষ্ট্র এদের উপর এমন জুলুম চালায়, তবে প্রশ্ন জাগে—এই দেশ স্বাধীন করে লাভ কী হলো?
আমার যুক্তি হলো, যারা এইসব ছোট যানবাহন তৈরি ও বাজারজাত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এসব অটোরিকশা বা সিএনজি গরিব মানুষরা জীবন-জমানো টাকা, কখনো ভাড়া করে, কখনো কিস্তিতে কিনে জীবিকা নির্বাহ করে। হঠাৎ করে এসব যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা সেগুলো ভেঙে দিয়ে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা মানবিক নয়।
যদি এদের গাড়িগুলো অবৈধ হয়, তাহলে যারা এসব গাড়ি আমদানি ও বিক্রি করছে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হোক। গরিব চালকদের গাড়ি ভেঙে না দিয়ে, তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলে মানুষ এসব ঝুঁকিপূর্ণ জীবিকার পেছনে ছুটত না।
ভিডিওতে এসব দৃশ্য দেখে মনে হলো, এই সরকার তার দেশের শান্তি আনতে কিছুটা হলেও ব্যার্থ হয়েছে, সকলল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধরে সমাজের প্রত্যেক জায়গায় আজ চলছে সৈরাচারীর এক নতুন অভিনব কায়দা, চলছে মানুষ হ্ত্যা গুপ্ত হত্যা, সেই সাথে হচ্ছে অনিয়ম ও দূর্নীতি, এ এক চরম নিষ্ঠুরতা।
যেমনভাবে একজন মানুষকে হত্যা করলে কষ্ট লাগে, তেমনি রাষ্ট্রীয় এই নির্মম আচরণও অসহনীয়। আপনার শাষনামলের ব্যার্থতার দায় কে নিবে?
মাননীয় সরকার প্রধানের কাছে বিশেষ অনুরোধ, আপনি জনগণের বন্ধু হিসেবে দেশ পরিচালনা করুন। আইন ও ব্যবস্থার প্রয়োগ হোক মানবিক ও সহনুভূতিশীল। গরিব মানুষদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এই নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে গিয়ে তাদের মনের কথা বুঝার চেস্টা করুন।