London ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ছোট বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু আলফাডাঙ্গায় যুবদল নেতার চাদার দাবিতে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি, দোকানে হামলা ও টাকা লুটের অভিযোগ ঈদ শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৫ লেশিয়ারা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় প্রাক্তনদের মিলনমেলা এতিম, প্রতিব‌ন্ধিদের মা‌ঝে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন‌ের গোশত বিতরণ নির্বাচন অনতিবিলম্বে অনুষ্ঠিত হতে আমাদের কার্যক্রম প্রসারিত করতে হবে : দিবালোক সিংহ কালকিনিতে নেতাকর্মী ও জনগনের সঙ্গে বিএনপি নেতার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ ক‌রে‌ছে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন রাজশাহীতে পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্ক বিজিবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল কসবা পৌর জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

খুলনায় নাশকতার ২ মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৪৯ জন খালাস

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারছবি: সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়া থানার নাশকতার দুই মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডুমুরিয়ার বামনদিয়ায় বোমা উদ্ধারের একটি ‘নাটক’ সাজিয়ে মামলা করা হয়। মামলায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিসহ ১৮ জনের নামে এজাহার দাখিল করা হয়েছিল। পরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্য একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা ইসহাক আলী মারা যাওয়ায় ৪৯ জন আসামি ছিলেন। একই এজাহার থেকে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অন্য মামলাটি ছিল বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে। দুই মামলায় একই আসামি ছিলেন।

মো. আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, যেখানে ৩০ জন সাক্ষী ছিলেন, সেখানে ১৯ জন সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। কোনো সাক্ষীই তাঁর সাক্ষ্যে সেক্রেটারি জেনারেলসহ কোনো আসামির নাম বলতে পারেননি যে তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। যে বই উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ নয়। আজ সেই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

আরেক আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ থানায় বসে এই মামলা করে। সেই মামলায় বিচারের নামে প্রহসন চলেছে। আজ সেই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা জানান তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮৩
Translate »

খুলনায় নাশকতার ২ মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৪৯ জন খালাস

আপডেট : ০১:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারছবি: সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়া থানার নাশকতার দুই মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডুমুরিয়ার বামনদিয়ায় বোমা উদ্ধারের একটি ‘নাটক’ সাজিয়ে মামলা করা হয়। মামলায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিসহ ১৮ জনের নামে এজাহার দাখিল করা হয়েছিল। পরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্য একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা ইসহাক আলী মারা যাওয়ায় ৪৯ জন আসামি ছিলেন। একই এজাহার থেকে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, অন্য মামলাটি ছিল বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে। দুই মামলায় একই আসামি ছিলেন।

মো. আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, যেখানে ৩০ জন সাক্ষী ছিলেন, সেখানে ১৯ জন সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। কোনো সাক্ষীই তাঁর সাক্ষ্যে সেক্রেটারি জেনারেলসহ কোনো আসামির নাম বলতে পারেননি যে তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। যে বই উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ নয়। আজ সেই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ আসামিকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

আরেক আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ থানায় বসে এই মামলা করে। সেই মামলায় বিচারের নামে প্রহসন চলেছে। আজ সেই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার কথা জানান তিনি।