কায়সার কামালের মানবিক উদ্যোগে চোখে আলো ফিরেছে দুর্গাপুরের দুই শতাধিক মানুষের

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের চোখে আলো ফেরাতে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার উদ্যোগে অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে থাকা মানুষ বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। ছানি অপারেশনের মাধ্যমে তাদের চোখে আলো ফিরছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আর্তমানবতার সেবায় বিএনপি’ এই ভাবনাকে উপজীব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা মানবতার সেবায় নিরন্তর কাজ করছেন।
মানুষের চোখে আলো ফেরানোর এই মানবিক উদ্যোগে এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে দুই শতাধিক রোগীর চোখের ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ৫ম ধাপে ২৪ জনের ছানি অপারেশন করা হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও চার জন নারী। ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে তাদের অপারেশন সম্পন্ন হয়।
এর আগে গত ৪ আগস্ট চতুর্থ ধাপে ৪৬ জনের চোখের অপারেশন করা হয়। গত ১৯ জুলাই প্রথম ধাপে ৪২ জন, ২৩ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে ৫০ জন এবং ৩০ জুলাই তৃতীয় ধাপে ৪৫ জনের চোখের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপ থেকে পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত মোট ২০৭ জনের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। তারা সকলেই সুস্থভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে,গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা ৯৩২ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে এসব রোগীদের চোখের অপারেশন করা হয়। অপারেশন ছাড়াও রোগীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া ও ওষুধের যাবতীয় খরচও বহন করছেন কায়সার কামাল। দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের দুর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন।
চোখের চিকিৎসা পেয়ে দুর্গাপুরের বালিচান্দা গ্রামের আব্দুল গফুর বলেন,আমাদের মতো গরীব মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বড় হাসপাতালে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করানো আমাদের সম্ভব না। তবে কায়সার কামালের অর্থায়নে এবার আমার চোখের অপারেশন হয়েছে। আমি এখন স্বাভাবিকভাবে সবকিছু দেখতে পাই।
অপর রোগী আয়েশা আক্তার বলেন,বহুদিন ধরে চোখের অসুখে ভুগছিলাম। অর্থকষ্টে চিকিৎসা করাতে পারিনি এতদিন। এবার আমার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন কায়সার কামাল সাহেব। আমার কষ্ট দূর হয়েছে।
ছানি অপারেশনের পর এখন সুস্থ আছেন উপজেলার নন্দেরচর এলাকার মরম আলী। তিনি বলেন,চোখে ছানি পড়ায় অনেকদিন ধরে সমস্যায় ভুগছিলাম। চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না টাকার অভাবে। কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। আমার চোখের অপারেশন হয়েছে। আমি এখন স্বাভাবিক চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারছি।
দুর্গাপুরের বাকলজোড়া এলাকার আব্দুল জব্বার বলেন, চোখের ছানি অপারেশনের পর এখন সব ফকফকা দেখি। আগে চলতে ফিরতে খুব সমস্যা হতো। এখন আর কোন সমস্যা নাই।
এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।