London ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় সায় নেই বাইডেনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনফাইল ছবি: এএফপি

প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাহলে তাতে সমর্থন দেবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বাইডেন এ কথা বলেন। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর পর থেকে ইরান–ইসরায়েলের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেশির ভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

ইরান বলেছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোইশানের হত্যার জবাবে ইসরায়েলে এ হামলা চালানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। ইসরায়েল বলেছে, তারা সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোয় ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী স্থাপনায়’ অভিযান চালাচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাতে ওয়াশিংটনের সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ফলাফল এখনো দেখা যায়নি। বরং সংঘাত আরও বেড়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার হারিকেন ‘হেলেনের’ তাণ্ডবে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ সময় একজন সাংবাদিক বাইডেনের কাছে জানতে চান, ইসরায়েল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে আপনি সমর্থন দেবেন কি না? বাইডেন সোজাসাপটা জবাব দেন, ‘না’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এখন কী করতে চাইছে, সে বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন জানান, এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ধনী দেশগুলোর জোট জি–৭–এর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছেন যে ইসরায়েলের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:১২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
৪৪
Translate »

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় সায় নেই বাইডেনের

আপডেট : ০৫:১২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনফাইল ছবি: এএফপি

প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাহলে তাতে সমর্থন দেবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বাইডেন এ কথা বলেন। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এর পর থেকে ইরান–ইসরায়েলের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বেশির ভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

ইরান বলেছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোইশানের হত্যার জবাবে ইসরায়েলে এ হামলা চালানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। ইসরায়েল বলেছে, তারা সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোয় ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী স্থাপনায়’ অভিযান চালাচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষত ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাতে ওয়াশিংটনের সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ফলাফল এখনো দেখা যায়নি। বরং সংঘাত আরও বেড়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার হারিকেন ‘হেলেনের’ তাণ্ডবে নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ সময় একজন সাংবাদিক বাইডেনের কাছে জানতে চান, ইসরায়েল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে আপনি সমর্থন দেবেন কি না? বাইডেন সোজাসাপটা জবাব দেন, ‘না’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এখন কী করতে চাইছে, সে বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন জানান, এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ধনী দেশগুলোর জোট জি–৭–এর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছেন যে ইসরায়েলের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’