আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ এবং পরে বিশাল মশাল মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেস আলী ঈসা ও সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন ১০১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা বিএনপি কমিটি এবং ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেন।
তবে এই কমিটিতে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের চৌরাস্তা থেকে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি খোসবুর রহমান খোকন এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি থানার সামনে দিয়ে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তায় গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ।
এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন—“অবৈধ কমিটি মানি না, মানবো না”, “আওয়ামী লীগের কমিটি মানি না, মানবো না।”
সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি খোসবুর রহমান খোকন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ডা. আজিজ, ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আরব আলী প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য সম্মেলনের সিদ্ধান্ত দিলেও সেটি উপেক্ষা করে ‘রাতের আঁধারে’ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নিজের পছন্দমতো পকেট কমিটি তৈরি করেছেন।
এই কমিটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক বর্তমান নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে।
বক্তৃতায় খোসবুর রহমান খোকন বলেন, “যেখানেই খন্দকার নাসির, সেখানেই প্রতিরোধ।”
তিনি আরও বলেন, “যারা গত ১৭ বছর বিএনপির দুঃসময়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকদের পদ দেওয়া হয়েছে—এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা বাজারে বিশাল মশাল মিছিল
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশাল মশাল মিছিল বের করেন।
মিছিলটি আলফাডাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
পুরো বাজার এলাকা তখন “আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিল করো”, “ত্যাগীদের পদ ফিরিয়ে দাও”—এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বক্তারা অবিলম্বে ‘আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ’ এই কমিটি বাতিল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান এবং বর্তমান কমিটিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।























