London ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল সিরাজগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে নগদ টাকা ও হেরোইনসহ এক নারী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্য

আজ ভারত যাচ্ছেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট, কী গুরুত্ব এই সফরের?

আজ রবিবার ভারত সফরে যাচ্ছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে মুইজ্জু ভারতের কাছে তার দেশের জন্য ‘বেল আউট’ চাইবেন। কারণ, বর্তমানে দ্বীপ রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক সংকটে আছে। এমনকি ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় আছে দেশটি।

‘বেল আউট’ কী?‘বেল আউট’ হচ্ছে যখন কোনও দেশ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দেনার দায়ে বা মূলধনসংকটে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়, তখন সেই দেশ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা।

সফরের গুরুত্ব

মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন গত বছরের শেষ দিকে। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তিনি আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন।

নির্বাচনী প্রচারে জনগণের কাছে মুইজ্জুর প্রধান অঙ্গীকার ছিল- ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ‘ভারত হটাও’ নীতি। মূলত তার দেশের ওপর নয়াদিল্লির প্রভাব কমানোই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। সে অনুযায়ী, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলে আসছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালদ্বীপ যে তার বড় প্রতিবেশী ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে মুইজ্জুর এই সফর।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অর্থ দিয়ে দেশটির দেড় মাসের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব।

গত মাসে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স মালদ্বীপের ক্রেডিট রেটিং (ঋণমান) কমিয়ে দেয়। সংস্থাটি বলে, মালদ্বীপের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাস্তবিক অর্থে বেড়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারত ‘বেল আউট’ দিলে মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে।

ইতোমধ্যে তুরস্ক ও চীন সফর করেছেন মুইজ্জু। গত জানুয়ারিতে তিনি চীন সফর করেন। তার এই সফরকে নয়াদিল্লির প্রতি বড় ধরনের কূটনৈতিক অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ হিসেবে বিবেচনায় করা হয়। কারণ, এর আগে মালদ্বীপের নির্বাচিত নেতারা তাদের প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ভারতকেই বেছে নিতেন।

শুধু তাই নয়, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মালদ্বীপের তিনজন কর্মকর্তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য কেরন। এর জেরে ভারতে বিতর্কও শুরু হয়।

মালদ্বীপের বিশ্লেষক ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রভাষক আজিম জহির বলেন, মুইজ্জুর ভারত সফর একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- মালদ্বীপ প্রতিবেশী ভারতের ওপর কতটা নির্ভরশীল, এর প্রতিফলন মুইজ্জুর এই সফর। ভারতের ওপরে মালদ্বীপের যে নির্ভরতা, তা অন্য কোনও দেশ সহজে পূরণ করতে পারবে না।

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত প্রায় ১ হাজার ২০০টি প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার।

ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ তার বেশির ভাগ খাদ্য, অবকাঠামো নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশাল প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সূত্র: বিবিসি

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
১০৩
Translate »

আজ ভারত যাচ্ছেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট, কী গুরুত্ব এই সফরের?

আপডেট : ১১:২৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

আজ রবিবার ভারত সফরে যাচ্ছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে মুইজ্জু ভারতের কাছে তার দেশের জন্য ‘বেল আউট’ চাইবেন। কারণ, বর্তমানে দ্বীপ রাষ্ট্রটি অর্থনৈতিক সংকটে আছে। এমনকি ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় আছে দেশটি।

‘বেল আউট’ কী?‘বেল আউট’ হচ্ছে যখন কোনও দেশ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দেনার দায়ে বা মূলধনসংকটে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়, তখন সেই দেশ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা।

সফরের গুরুত্ব

মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন গত বছরের শেষ দিকে। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম তিনি আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন।

নির্বাচনী প্রচারে জনগণের কাছে মুইজ্জুর প্রধান অঙ্গীকার ছিল- ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ‘ভারত হটাও’ নীতি। মূলত তার দেশের ওপর নয়াদিল্লির প্রভাব কমানোই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। সে অনুযায়ী, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলে আসছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালদ্বীপ যে তার বড় প্রতিবেশী ভারতকে উপেক্ষা করতে পারে না, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে মুইজ্জুর এই সফর।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অর্থ দিয়ে দেশটির দেড় মাসের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব।

গত মাসে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স মালদ্বীপের ক্রেডিট রেটিং (ঋণমান) কমিয়ে দেয়। সংস্থাটি বলে, মালদ্বীপের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাস্তবিক অর্থে বেড়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারত ‘বেল আউট’ দিলে মালদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে।

ইতোমধ্যে তুরস্ক ও চীন সফর করেছেন মুইজ্জু। গত জানুয়ারিতে তিনি চীন সফর করেন। তার এই সফরকে নয়াদিল্লির প্রতি বড় ধরনের কূটনৈতিক অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ হিসেবে বিবেচনায় করা হয়। কারণ, এর আগে মালদ্বীপের নির্বাচিত নেতারা তাদের প্রথম বিদেশ সফরের জন্য ভারতকেই বেছে নিতেন।

শুধু তাই নয়, মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মালদ্বীপের তিনজন কর্মকর্তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য কেরন। এর জেরে ভারতে বিতর্কও শুরু হয়।

মালদ্বীপের বিশ্লেষক ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রভাষক আজিম জহির বলেন, মুইজ্জুর ভারত সফর একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- মালদ্বীপ প্রতিবেশী ভারতের ওপর কতটা নির্ভরশীল, এর প্রতিফলন মুইজ্জুর এই সফর। ভারতের ওপরে মালদ্বীপের যে নির্ভরতা, তা অন্য কোনও দেশ সহজে পূরণ করতে পারবে না।

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত প্রায় ১ হাজার ২০০টি প্রবালদ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার।

ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ তার বেশির ভাগ খাদ্য, অবকাঠামো নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশাল প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল। সূত্র: বিবিসি