আওয়ামী পুনর্বাসনে ফ্যাসিস্ট আমলা-মিডিয়া উঠেপড়ে লেগেছে
পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সব অপরাধের বৈধতা দিতে এবং তাদের আবারও পুনর্বাসনে ফ্যাসিস্ট আমলা ও কিছু মিডিয়া সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ছাত্র-জনতার বিজয়কে নস্যাৎ করে দিতে এই আমলা-মিডিয়াই যথেষ্ট।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘বর্তমান আমলা ও মিডিয়া আওয়ামী লীগের অপরাধের বৈধতা দানে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। যেসব আমলারা দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে, যেসব মিডিয়া এই দীর্ঘ লড়াইয়ে যুক্ত সংগ্রামী জনগণকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়েছে—আজ তারা আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা যখন এই আমলা ও এই মিডিয়ার বিরুদ্ধে কথা বললাম, তখন আপনারা বলা শুরু করলেন—আমাদের এই দায়িত্ব কে দিয়েছে? যেসব আমলা ও মিডিয়ার তত্ত্বাবধানে আওয়ামী জাহিলিয়াত কায়েম হয়েছিল, জুলুম কায়েম হয়েছিল, সেই একই আমলা ও মিডিয়া দিয়ে আপনারা ইনসাফ কায়েম করবেন বলে যারা মনে করেন, তাদেরকে বলব—আপনারা ফ্যাসিবাদের দিকটা মুখ থেকে সরান। এই বিপ্লবকে হোমাসা(!) করে দেওয়ার জন্য এই আমলা ও মিডিয়াই যথেষ্ট।’
এর আগে আরেক স্ট্যাটাসে রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে হাসনাত লেখেন, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিনদিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অপমানের শামিল।
তিনি আরও লেখেন, অথচ ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদবিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।