অডিটর পদকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে আজও বিক্ষোভ
অডিট ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা
অডিটর পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে আজ সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন নন-ক্যাডার কর্মচারীরা। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা প্রায় ১টা পর্যন্ত তাঁরা রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে অডিট ভবনের সামনে আসেন অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস (নন-ক্যাডার) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে থেকেই অডিট ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা ভবনের সামনে এসে ভেতরে যেতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাঁদের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে আজ সোমবার আন্দোলনকারীদের মিছিলছবি: দীপু মালাকার
ভেতরে ঢুকতে না পেরে অডিট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। এ সময় ‘এক পদে দুই গ্রেড, মানি না, মানব না’, ‘দফা এক দাবি এক, অডিটর দশম গ্রেড’, ‘ইউনূস স্যারের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
গতকাল রোববার আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তবে আজ তাঁরা সড়ক অবরোধ করেননি। বেলা ১টার দিকে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
বিক্ষোভকারীরা ‘বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ’-এর ব্যানারে ২০ দফা দাবিসংবলিত একটি লিফলেট বিলি করেন। এতে পদ্ধতিগত ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এখন তাঁদের মূল দাবি হলো, অডিটর পদকে দশম গ্রেড ঘোষণা করে সরকারি আদেশ জারি করা হোক।
অডিটর আহমেদুর রহমান বলেন, অডিটর পদটি ১১তম গ্রেডের। কিন্তু এটিকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে আদালতের রায় আছে। ২০১৮ সালে ৬১ জনকে ১০ম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর আরও ৭৫২ জনের বিষয়ে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। একই পদে থেকে কেউ ১১তম গ্রেডে, আর কেউ ১০ম গ্রেডে, এটি বৈষম্যমূলক। তাঁদের মূল দাবি অডিটর পদটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সরকারি আদেশ জারি করতে হবে।