London ০৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও রাজপথে অবিচল তৃণমূলের আস্থার প্রতীক-মির্জা মোস্তফা জামান সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি সভা সলঙ্গায় পানিতে ডুবে ৪ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা থ্রী হুইলার উল্টে নিহত ১ : আহত ১ বসুন্ধরা শুভসংঘের শেরপুর জেলা কমিটি গঠন : সভাপতি মিনহাজ, সম্পাদক শামীম লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের লন্ডন রিজিওনাল কমিটির অভিষেক রাইসা মনি”র, কবর জিয়ারত করতে জামায়াত ইসলামির ড.ইলিয়াস মোল্লা কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ ইউটিউব বদলে দিল ভাগ্য: ভিডিও বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন বদলগাছীর তানভীর রায়হান মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে ট্রাম্পের হুমকি, কড়া প্রতিক্রিয়া পানামার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পানামা খাল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতিটি বর্গমিটার পানামার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং থাকবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজ চলাচলে ‘অন্যায্য ফি’ নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি হুমকি দেন, খালটির নিয়ন্ত্রণ ফের ওয়াশিংটনের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাবেন।

এ বিষয়ে পানামার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট মুলিনো ছাড়াও স্বাক্ষর করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট এর্নেস্তো পেরেজ বালাদারেস, মার্টিন তোর্রিওস এবং মিরেয়া মসকোসো। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পানামা খালের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়। এটি আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস এবং একটি অপরিবর্তনীয় অর্জন।

পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেন্তিনো কোর্তিজো এবং রিকার্ডো মার্টিনেল্লিও এই বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কোর্তিজো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিবৃতির প্রতি তার সমর্থনের কথা বলেন।

বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় পাঁচ শতাংশ পরিবহনকারী পানামা খালটি ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়। ১৯৭৭ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় খালটি পানামার হাতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৯৯৯ সালে পানামা এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই খালের প্রধান ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিলি।

তবে পানামার নেতারা ট্রাম্পের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পানামাবাসী বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন, তবে খাল এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা একত্রিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
৫৯
Translate »

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে ট্রাম্পের হুমকি, কড়া প্রতিক্রিয়া পানামার

আপডেট : ১২:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে কড়া ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পানামা খাল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতিটি বর্গমিটার পানামার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং থাকবে।

সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজ চলাচলে ‘অন্যায্য ফি’ নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি হুমকি দেন, খালটির নিয়ন্ত্রণ ফের ওয়াশিংটনের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাবেন।

এ বিষয়ে পানামার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট মুলিনো ছাড়াও স্বাক্ষর করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট এর্নেস্তো পেরেজ বালাদারেস, মার্টিন তোর্রিওস এবং মিরেয়া মসকোসো। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পানামা খালের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবেই আপসযোগ্য নয়। এটি আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস এবং একটি অপরিবর্তনীয় অর্জন।

পানামার সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেন্তিনো কোর্তিজো এবং রিকার্ডো মার্টিনেল্লিও এই বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কোর্তিজো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিবৃতির প্রতি তার সমর্থনের কথা বলেন।

বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় পাঁচ শতাংশ পরিবহনকারী পানামা খালটি ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়। ১৯৭৭ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় খালটি পানামার হাতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৯৯৯ সালে পানামা এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই খালের প্রধান ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিলি।

তবে পানামার নেতারা ট্রাম্পের মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পানামাবাসী বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন, তবে খাল এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা একত্রিত।