London ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
শ্যামনগরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের ব্যাপক জনসংযোগ রাজশাহীতে নেসকোর দুই কর্মচারী আহত হবিগঞ্জ-০৪ আসনে দলীয় মনোনয়নে বিরন ঐক্য- সৈয়দ মোঃ ফয়সলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রাজশাহীতে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ায় “ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা হবিগঞ্জ-০৪-এর — সৈয়দ ফয়সলের নির্বাচনী বার্তা শের আলী খান স্বপন: পাবনা-১ আসনে বিএনপির ক্লিন ইমেজধারী নেতা কসবায় ক্যান্সারে আক্রান্ত পাখি আক্তারের পাশে ‘অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন (সি.টি.এল) এর’ ২৫০ তম মানবিক সহায়তার কাজ সম্পন্ন সিরাজগঞ্জে অসহায় নারীর জমি দখল, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ফরিদপুরে ৪৩ বছর পর সরকারী হাসপাতালের জমি পুনঃউদ্ধার কালিয়াকৈরে শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

মোদিকে পাশে রেখে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বললেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠক শেষে এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটি আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে। তিনি জানতে চান, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট জড়িত ছিল।  সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকেও তা প্রমাণিত। তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?’

জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত আমি এরকমই পড়েছি।’

এরপর তিনি বলেন, ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব’। এ কথা বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় আদৌ আসবে কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল। তার কারণ ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’!তবে ভারতীয় সাংবাদিকের কারণে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে এ বার্তা আশাব্যঞ্জক বলেই ভাবছে ভারত, এমন মত দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

ভারতের একটি শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, ভারত যে তাদের ঘরের পাশে একটি ‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ দেখতে চায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সেটাই জানানো হয়েছে এবং তিনিও এই নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

এর আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ‘ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার’ সংকল্প ব্যক্ত করেন ট্রাম্প । তিনি বলেন, এই সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে এবং সম্ভবত শুল্ক বাড়বে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করবো। সুতরাং সত্য বলতে কি, তারা কত শুল্ক ধার্য করলো, তাতে আমাদের আর কিছু যায় আসে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মূলত সমান সুবিধা পেতে চাই। ’

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫৮
Translate »

মোদিকে পাশে রেখে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বললেন ট্রাম্প

আপডেট : ০৪:২৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠক শেষে এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রশ্নটি আসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে। তিনি জানতে চান, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় মার্কিন ডিপ স্টেট জড়িত ছিল।  সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকেও তা প্রমাণিত। তো বাংলাদেশ নিয়ে আপনি কী বলবেন?’

জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত আমি এরকমই পড়েছি।’

এরপর তিনি বলেন, ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব’। এ কথা বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় আদৌ আসবে কি না, তা নিয়েও সংশয় ছিল। তার কারণ ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ যুদ্ধ’!তবে ভারতীয় সাংবাদিকের কারণে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমেরিকার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে এ বার্তা আশাব্যঞ্জক বলেই ভাবছে ভারত, এমন মত দিল্লির কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

ভারতের একটি শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, ভারত যে তাদের ঘরের পাশে একটি ‘শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ দেখতে চায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সেটাই জানানো হয়েছে এবং তিনিও এই নীতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

এর আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ‘ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার’ সংকল্প ব্যক্ত করেন ট্রাম্প । তিনি বলেন, এই সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমবে এবং সম্ভবত শুল্ক বাড়বে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করবো। সুতরাং সত্য বলতে কি, তারা কত শুল্ক ধার্য করলো, তাতে আমাদের আর কিছু যায় আসে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মূলত সমান সুবিধা পেতে চাই। ’

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা