রমজান শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম নয়। বরং এটি তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাস আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক তৈরির মাস। প্রতি বছরই রমজান আসে এবং নির্ধারিত সময়ে চলে যায়। প্রায় প্রতিটি রমজানই গতানুগতিকভাবে কেটে যায়। জীবনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসে না। এবারের রমজানটি যদি আপনার জীবনে কোনো পরিবর্তন ঘটায় তাহলে কেমন হবে?
রমজানকে পরিবর্তনের মাসে রূপান্তরিত করতে রমজানের আগেই শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের ৯টি উপায়—
রমজান মাসের প্রাণ পবিত্র রমজান। এই মাসে প্রায় প্রত্যেক মুসলমানই কোরআন তিলাওয়াত করেন, অনেকেই এই মাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোরআন মুখস্ত করেন। তবে রমজান শুরু হওয়ার অপেক্ষা না করে আজ থেকেই পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুন।
এখন থেকেই এই অভ্যাগ গড়ে তুললে আপনি কোরআনের সঙ্গে একটি সুন্দর সম্পর্কের মাধ্যমে রমজান মাস শুরু করতে পারবেন। যা এই মাসে কোরআনের সঙ্গে আপনার সর্ম্পক গভীর করতে সাহায্য করবে।
রমজান মাস শুধু খাবার ও পানীয় পরিহারের মাস নয়। একইসঙ্গে এই মাসে মন্দ স্বভাব পরিহার ও ইতিবাচক কিছু শেখার মাস। নিজের মাঝে পরিবর্তন আনা এবং রবের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির মাস।
এই ছোট পরিবর্তনগুলো আপনাকে রমজানে প্রয়োজনীয় ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে সহায়তা করবে।
রমজানের প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিন। নামাজ ছাড়ার অভ্যাস পরিহার করুন। রমজানে ফরজ ছাড়াও অন্যান্য সুন্নত, নফল নামাজের (যেমন, তারাবি, তাহাজ্জুদ) পরিকল্পনা রাখুন এখন থেকেই।
এখন থেকে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুললে রমজানের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই আপনার শরীর ও মন ইবাদতকে স্বাগত জানাবে সহজেই।
রমজানে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। দীর্ঘ সময় অনাহারে থাকার ফলে শরীরে যেন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয় এবং ইবাদতে সমস্যা না হয়, তাই রমজানে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন।
রমজানের রোাজার বিধান আল্লাহ তায়ালা কেন দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে মুমিনদের কী শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তা বোঝার এবং জানার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে তা ইবাদতের মাহাত্ম্য বুঝতে সাহায্য করবে।
সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ আপনাকে সঠিকভাবে রমজানের ইবাদত পালনে সাহায্য করবে।
রমজানের ইতিহাস, গুরুত্ব ফজিলত এবং শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করুন।
এই বিষয়গুলো জানলে রমজানের ইবাদত পালন আপনার জন্য সহজ হবে।
মনোযোগের সঙ্গে ইবাদত পালনের জন্য উপযোগী পরিবেশ জরুরি।
রমজানে পরিবারের সবাইকে ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করুন। এখন থেকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণে উৎসাহিত করুন। রমজানে সবাই একসঙ্গে সহযোগী হয়ে ইবাদত পালনের চেষ্টা করুন।
প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন। রমজানে সবাই একসঙ্গে ইফতার করার পরিকল্পনা করুন।
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা অন্যকে ক্ষমা করা এবং অন্যের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা। কারো সঙ্গে কোনো কারণে মনোমালিন্য থাকলে আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রাপ্তি আশায় রমজানের আগেই তা ঠিক করে ফেলুন।
আল্লাহর কাছে হেদায়েতের দোয়া করুন। এই রমজান যেন সুন্দরভাবে কাটে সেজন্য প্রার্থনা করুন।