London ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কয়রায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যেদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য দুবাইতে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী মোশাররফ হোসেন চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী: তিনদিন পর থানায় মামলা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয় শিশুদের নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে -নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভাষা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সম্পাদকের ভূমিকা শরীর ও মনকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করুন এই উপায়ে হারের পর যা বললেন শান্ত

২৫ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীকে এইচআইভির সুচ ফোটালেন স্বামী

দাবিমতো পণের ১০ লাখ টাকা দিতে পারেননি বাপের বাড়ির লোকেরা। সেই ‘অপরাধে’ বধূকে নির্যাতনের পর এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। আদালতের নির্দেশে সেই নারীর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সাহারনপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন বলেন, আক্রান্ত নারী সাহারনপুরের বাসিন্দা। আমরা তার স্বামী, দেওর, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা, বিষপ্রয়োগ করে খুনের চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, আলাদা ভাবে পণ সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

 

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হবে। ঘটনাটি গত বছরের মে মাসের। নির্যাতিতার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করে কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন। জামাইকে একটি এসইউভি, ১৫ লাখ টাকা নগদও দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে তার কন্যার ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক মাসের মধ্যে নারীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পর পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা হয়। আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তার স্বামী।

নারীর বাবার অভিযোগ, তার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। জোর করে তার কন্যাকে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর থেকেই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় তার এইচআইভি পজ়িটিভ। তার স্বামীরও পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি এইচআইভি নেগেটিভ। মহিলার বাবার অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। তার পর শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৬:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

২৫ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীকে এইচআইভির সুচ ফোটালেন স্বামী

আপডেট : ০৬:৪৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দাবিমতো পণের ১০ লাখ টাকা দিতে পারেননি বাপের বাড়ির লোকেরা। সেই ‘অপরাধে’ বধূকে নির্যাতনের পর এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। আদালতের নির্দেশে সেই নারীর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সাহারনপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন বলেন, আক্রান্ত নারী সাহারনপুরের বাসিন্দা। আমরা তার স্বামী, দেওর, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা, বিষপ্রয়োগ করে খুনের চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, আলাদা ভাবে পণ সংক্রান্ত মামলাও দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

 

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পুঙ্খানুপঙ্খ ভাবে তদন্ত করা হবে। ঘটনাটি গত বছরের মে মাসের। নির্যাতিতার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় করে কন্যার বিয়ে দিয়েছিলেন। জামাইকে একটি এসইউভি, ১৫ লাখ টাকা নগদও দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে তার কন্যার ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক মাসের মধ্যে নারীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পর পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা হয়। আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তার স্বামী।

নারীর বাবার অভিযোগ, তার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। জোর করে তার কন্যাকে এইচআইভি সংক্রমিত সুচ ব্যবহার করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার পর থেকেই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় তার এইচআইভি পজ়িটিভ। তার স্বামীরও পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তিনি এইচআইভি নেগেটিভ। মহিলার বাবার অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নিতে চায়নি তারা। তার পর শেষে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।