বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট শুরু হবে অথচ তার আগে চোটের মিছিল হবে না, এমন ভাবনা যেন অকল্পনীয়! আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগমুহূর্তেও সেই খড়গ এসেছে ক্রিকেটারদের ওপর। বিশেষ করে যেন পেস-ব্যাটারিমুক্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে ‘ইনজুরি’। জাসপ্রিত বুমরাহ, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও এনরিখ নরকিয়ার মতো গতিতারকারা ইতোমধ্যে আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন।
নতুন করে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ২৭ বছর বয়সী পেসার বেন সিয়ার্স। তিনি পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন। হ্যামস্ট্রিংয়ের সেই চোট প্রথম কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ কেড়ে নিলো সিয়ার্সের। তার পরিবর্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন জ্যাকব ডাফি। তিনি অবশ্য চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলছেন।
বেন সিয়ার্সের ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে অন্তত ২ সপ্তাহ লাগবে জানিয়ে কিউই কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, ‘আমরা বেনের (সিয়ার্স) অবস্থা অনুভব করতে পারছি। বড় ইভেন্টের আগমুহূর্তে ছিটকে পড়া মেনে নেওয়া খুব কঠিন। এটি তার প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট হতে পারত। তার চোট কাটিয়ে উঠার আগেই গ্রুপপর্বের দুটি ম্যাচ খেলে ফেলবে নিউজিল্যান্ড। সে কারণে আমাদের পুরো ফিট কাউকে নিয়েই টুর্নামেন্টে নামতে হতো। স্টিডও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ফর্মে আছে। নিজের প্রথম (জাতীয় দলে) আইসিসি ইভেন্টে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে তার জন্য।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ খেললেও অবশ্য কোনো উইকেট পাননি ছিটকে পড়া সিয়ার্স। অন্যদিকে, ডাফি খেলছেন এই সিরিজের ফাইনালে (পাকিস্তানের বিপক্ষে)। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ১০টি ওয়ানডেতে তার শিকার ১৮ উইকেট। সিরিজ শেষেই একই প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উদ্বোধনী লড়াইয়ে নামবে কিউইরা। এ ছাড়া ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এবং শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।
এদিকে, বুমরাহ-কামিন্স-হ্যাজলউড-নরকিয়ার মতো পেসারদের ছাড়াই হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নাম সরিয়ে নিয়েছেন মিচেল স্টার্কও। ছিটকে না গেলেও এখনও চোট নিয়ে লড়ছেন হারিস রউফ, লকি ফার্গুসন ও জেরাল্ড কোয়েটজের মতো পেসররা। সবমিলিয়ে পেসারদের জন্য ফিট থেকে টুর্নামেন্ট খেলতে নামা–ই যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে!