London ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামানে পণ্ড আউটসোর্সিং কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: তিন ডাকাত গ্রেপ্তার, এএসআই বরখাস্ত টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির জন্য ইবিএফসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের অংশীদারিত্ব জোরদারের আহ্বান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বিরোধ, বিক্ষোভে উত্তাল চট্টগ্রাম তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমির গুণীজন সম্মাননায় ভূষিত হলেন সমাজসেবক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব মোঃ শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহে চরমপন্থি ৩ নেতা খুন, ১৬ ঘণ্টায়ও হয়নি মামলা হাসিনার পতন একদিনে ঘটেনি, অনেক বছরের ত্যাগ-সংগ্রাম আছে মির্জা ফখরুল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি যে কারণে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙল শিক্ষার্থীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আউটসোর্সিং কর্মীদের সড়ক অবরোধ

ইউপি চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিল প্রতিপক্ষ

অনলাইন ডেস্ক

পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল শিক্ষক আকতার হোসেনকে (৪৫) পিটিয়ে পা ভেঙে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চর সেনগ্রাম এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান আকতার আওয়ামী লীগ সমর্থক। তবে দলীয় কোনো পদে নেই। অপরদিকে হামলাকারীরা বিএনপি সমর্থক।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে এলাকার জাফর সরদার, জিন্নাহ সরদার, মুনজিল হোসেনদের সাথে আমার বিরোধ চলছিল। তারা মাঝে মধ্যে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দেওয়ায় ও স্কিমের অংশ না নেয়ায় তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। রোববার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাজারে যাবার সময় পথিমধ্যে জাফর গং হামলা চালিয়ে আমার ডান পা ভেঙে দিয়েছে। শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাফর সরদার বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। শুনেছি পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান হামলার শিকার হয়েছেন। স্কিম নিয়ে কোন ঘটনা না। আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেই, তা নাহলে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতো।’

আরেক অভিযুক্ত জিন্নাহ সরদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে মারপিটের সাথে আমি জড়িত নই। যেটা শুনেছি মাস ছয়েক আগে ওই চেয়ারম্যান দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার শালিস করে দেন। সেই শালিসে জরিমানার টাকা চেয়ারম্যান নিয়েছিলেন। কিন্তু আহত মহিলাকে কোনো টাকা দেননি। সেই জন্য এলাকার লোকজন তাকে ধরে মারপিট করেছে। আমি শোনার সাথে সাথে সেখানে গিয়ে লোকজনের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে অভিযোগ সঠিক না। আমাদের স্কিম আমাদের জমি এত বছর ধরে আওয়ামী লীগের ওই চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জবর দখল করে খেয়েছেন। আমরা কিছু করতে পারিনি। এখন পট পরিবর্তনের পর আমাদের স্কিম জমি ফিরিয়ে নিয়েছি।’

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তবে রোববার রাত দশটা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১
Translate »

ইউপি চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিল প্রতিপক্ষ

আপডেট : ০৫:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল শিক্ষক আকতার হোসেনকে (৪৫) পিটিয়ে পা ভেঙে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চর সেনগ্রাম এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান আকতার আওয়ামী লীগ সমর্থক। তবে দলীয় কোনো পদে নেই। অপরদিকে হামলাকারীরা বিএনপি সমর্থক।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে এলাকার জাফর সরদার, জিন্নাহ সরদার, মুনজিল হোসেনদের সাথে আমার বিরোধ চলছিল। তারা মাঝে মধ্যে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দেওয়ায় ও স্কিমের অংশ না নেয়ায় তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। রোববার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাজারে যাবার সময় পথিমধ্যে জাফর গং হামলা চালিয়ে আমার ডান পা ভেঙে দিয়েছে। শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাফর সরদার বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। শুনেছি পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান হামলার শিকার হয়েছেন। স্কিম নিয়ে কোন ঘটনা না। আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেই, তা নাহলে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতো।’

আরেক অভিযুক্ত জিন্নাহ সরদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে মারপিটের সাথে আমি জড়িত নই। যেটা শুনেছি মাস ছয়েক আগে ওই চেয়ারম্যান দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার শালিস করে দেন। সেই শালিসে জরিমানার টাকা চেয়ারম্যান নিয়েছিলেন। কিন্তু আহত মহিলাকে কোনো টাকা দেননি। সেই জন্য এলাকার লোকজন তাকে ধরে মারপিট করেছে। আমি শোনার সাথে সাথে সেখানে গিয়ে লোকজনের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে অভিযোগ সঠিক না। আমাদের স্কিম আমাদের জমি এত বছর ধরে আওয়ামী লীগের ওই চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জবর দখল করে খেয়েছেন। আমরা কিছু করতে পারিনি। এখন পট পরিবর্তনের পর আমাদের স্কিম জমি ফিরিয়ে নিয়েছি।’

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তবে রোববার রাত দশটা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’