London ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কানাডার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক

কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি।

আর এটাকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-আরোপের হুমকির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, সোমবার ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সেখানে তিনি তাদের দুজনের “কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথের বিষয়ে মতবিরোধে” এবং ট্রাম্পের “আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ” নীতির জেরে উত্থাপিত “গুরুতর চ্যালেঞ্জের” দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

ফ্রিল্যান্ড বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডো তাকে জানিয়েছিলেন- তিনি আর তাকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা দেখতে চান না এবং এরপরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সংসদে বার্ষিক আর্থিক সরকারি আপডেট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই খবর সামনে এলো। এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নড়বড়ে অবস্থানে থাকা ট্রুডোর সরকারকে আরও বিপদের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে।

নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো পদত্যাগের ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মুখোমুখি হয়েছেন। পোল ট্র্যাকার অনুসারে, তিনি যখন প্রথম নির্বাচিত হন তখন লিবারেল এই নেতার জনপ্রিয়তার হার ৬৩ শতাংশ থাকলেও সেখান থেকে হ্রাস পেয়ে চলতি বছরের জুনে তা ২৮ শতাংশে নেমে গেছে।

এছাড়া সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচ জন লিবারেল এমপি প্রকাশ্যেই ট্রুডোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
৩৫
Translate »

ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কানাডার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

আপডেট : ০৪:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি।

আর এটাকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবার তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-আরোপের হুমকির জবাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, সোমবার ট্রুডোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সেখানে তিনি তাদের দুজনের “কানাডার জন্য সর্বোত্তম পথের বিষয়ে মতবিরোধে” এবং ট্রাম্পের “আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ” নীতির জেরে উত্থাপিত “গুরুতর চ্যালেঞ্জের” দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

ফ্রিল্যান্ড বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডো তাকে জানিয়েছিলেন- তিনি আর তাকে তার সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা দেখতে চান না এবং এরপরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সংসদে বার্ষিক আর্থিক সরকারি আপডেট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের এই খবর সামনে এলো। এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নড়বড়ে অবস্থানে থাকা ট্রুডোর সরকারকে আরও বিপদের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে।

নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো পদত্যাগের ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মুখোমুখি হয়েছেন। পোল ট্র্যাকার অনুসারে, তিনি যখন প্রথম নির্বাচিত হন তখন লিবারেল এই নেতার জনপ্রিয়তার হার ৬৩ শতাংশ থাকলেও সেখান থেকে হ্রাস পেয়ে চলতি বছরের জুনে তা ২৮ শতাংশে নেমে গেছে।

এছাড়া সোমবার ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর পাঁচ জন লিবারেল এমপি প্রকাশ্যেই ট্রুডোকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।