London ১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ইউক্রেনে সোমবার পর্যন্ত ‘ইস্টার যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পুতিনের পেঁয়াজ-সয়াবিন তেলের দামে বাজারে অস্বস্তি সোনার দামে নতুন রেকর্ড নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার দিতে পারে: মার্টিন রেইজার

মার্টিন রাইজার, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক

চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ সব মিলিয়ে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে পারে। চলমান প্রকল্পের অর্থ ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে—এমন সম্ভাবনাও আছে। এতে অর্থের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আজ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

মার্টিন রেইজার বলেন, উপদেষ্টার সঙ্গে কাঠামোগত সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব কাজে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আমরা এই অংশীদারি অব্যাহত রাখতে চাই।’

সহায়তার প্রসঙ্গে মার্টিন রেইজারের বক্তব্য, ‘দেখুন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় পর্ষদ বৈঠকে। তাদের পক্ষ থেকে আমার পক্ষে অঙ্গীকার করা সম্ভব নয়। আমি অঙ্গীকার করলেও তারা বিষয়টি ভালোভাবে নেবেন না।’ তবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দেওয়া হবে বাজেট সহায়তা হিসেবে; বাকিটা দেওয়া হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে, যেমন স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আরও প্রকল্পে সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের জন্য কোথা থেকে কী দেওয়া যায়, বিশ্বব্যাংক তা খতিয়ে দেখছে বলে মন্তব্য করেন মার্টিন রেইজার। বিশ্বব্যাংকের যে আইডিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেই তহবিল থেকে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে, যেমন বাজেট সহায়তা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি, সার আমদানি, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসন, রোহিঙ্গা সংকট—এসব বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এসব বিষয়ে খুবই ইতিবাচক। কোন বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে, তা একরকম পরিষ্কার। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও তারা সমন্বয় করবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮০
Translate »

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার দিতে পারে: মার্টিন রেইজার

আপডেট : ০৭:৪৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মার্টিন রাইজার, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক

চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তাসহ সব মিলিয়ে ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে পারে। চলমান প্রকল্পের অর্থ ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে—এমন সম্ভাবনাও আছে। এতে অর্থের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আজ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

মার্টিন রেইজার বলেন, উপদেষ্টার সঙ্গে কাঠামোগত সংস্কার, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব কাজে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই অঞ্চলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার। আমরা এই অংশীদারি অব্যাহত রাখতে চাই।’

সহায়তার প্রসঙ্গে মার্টিন রেইজারের বক্তব্য, ‘দেখুন, এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় পর্ষদ বৈঠকে। তাদের পক্ষ থেকে আমার পক্ষে অঙ্গীকার করা সম্ভব নয়। আমি অঙ্গীকার করলেও তারা বিষয়টি ভালোভাবে নেবেন না।’ তবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জন্য ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু দেওয়া হবে বাজেট সহায়তা হিসেবে; বাকিটা দেওয়া হবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে, যেমন স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুযায়ী আরও প্রকল্পে সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের জন্য কোথা থেকে কী দেওয়া যায়, বিশ্বব্যাংক তা খতিয়ে দেখছে বলে মন্তব্য করেন মার্টিন রেইজার। বিশ্বব্যাংকের যে আইডিএ বা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আছে, সেই তহবিল থেকে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে, যেমন বাজেট সহায়তা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি, সার আমদানি, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইত্যাদি। সেই সঙ্গে বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসন, রোহিঙ্গা সংকট—এসব বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এসব বিষয়ে খুবই ইতিবাচক। কোন বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে, তা একরকম পরিষ্কার। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও তারা সমন্বয় করবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।