London ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোজাম্বিকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা

অনলাইন ডেস্ক

আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশ মোজাম্বিকে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মোজাম্বিকের পাশের দেশ মালাউই হয়ে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) বিএম জামাল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মোজাম্বিকের চলমান পরিস্থিতিতে সেখানের বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএম জামাল হোসেন বলেন, মোজাম্বিকে আটকে পড়া বাংলাদশি নাগরিকদের আমরা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। যেসব বাংলাদেশি ফিরতে আগ্রহী, তাদের মোজাম্বিক থেকে সড়ক পথে  মালাউইতে আনা হবে। তারপর মালাউই থেকে বিমানযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, মোজাম্বিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে অনেকেই ফিরতে আগ্রহী। যারা অনিয়মিত রয়েছেন, তাদের জন্য আমরা ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করবো। ফিরতে আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কতজন ফিরতে আগ্রহী সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, মোজাম্বিকে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের বেশ কিছু দোকানপাট লুটপাট হয়েছে। অনেকেই ঘর-বাডি ছেড়ে নিরাপদে আশ্র‍য় নিয়েছেন। তবে মোজাম্বিকে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ মিশন থেকে সেখানের বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশিদের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- দোকানপাট ভাঙচুরও লুটপাট হয়েছে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিকে ৯ অক্টোবরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। তবে মোজাম্বিকের শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করলে বিরোধীপ্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেন।

প্রতিবাদকারীরা পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল স্টেশন এবং ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় এবং সড়ক অবরোধ করে। মোজাম্বিকে গত অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

মোজাম্বিকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা

আপডেট : ১০:৪৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশ মোজাম্বিকে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মোজাম্বিকের পাশের দেশ মালাউই হয়ে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) বিএম জামাল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

মোজাম্বিকের চলমান পরিস্থিতিতে সেখানের বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএম জামাল হোসেন বলেন, মোজাম্বিকে আটকে পড়া বাংলাদশি নাগরিকদের আমরা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। যেসব বাংলাদেশি ফিরতে আগ্রহী, তাদের মোজাম্বিক থেকে সড়ক পথে  মালাউইতে আনা হবে। তারপর মালাউই থেকে বিমানযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, মোজাম্বিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে অনেকেই ফিরতে আগ্রহী। যারা অনিয়মিত রয়েছেন, তাদের জন্য আমরা ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করবো। ফিরতে আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কতজন ফিরতে আগ্রহী সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, মোজাম্বিকে রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের বেশ কিছু দোকানপাট লুটপাট হয়েছে। অনেকেই ঘর-বাডি ছেড়ে নিরাপদে আশ্র‍য় নিয়েছেন। তবে মোজাম্বিকে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ মিশন থেকে সেখানের বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশিদের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- দোকানপাট ভাঙচুরও লুটপাট হয়েছে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিকে ৯ অক্টোবরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। তবে মোজাম্বিকের শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করলে বিরোধীপ্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেন।

প্রতিবাদকারীরা পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল স্টেশন এবং ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় এবং সড়ক অবরোধ করে। মোজাম্বিকে গত অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।