‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে আটক ৮
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজিকালে ৮ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন জনতা। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের আটক করে পুলিশের সোপর্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানা থানার ওসি বদিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করার পর পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে তাদের ছেড়ে দিতে কেউ কেউ অনুরোধ করছে। কিন্তু এখানও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু সাঈদ রবিন ও শাহজাহানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কলাবাড়ি এলাকায় পাথরবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা দাবি করে। ওইসব ট্রাকে পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথর এলাকা থেকে চুরি হওয়া পাথর নিয়ে যাচ্ছিল। রবিন ও শাহজাহানকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোম্পানীগঞ্জে সক্রিয় ছিল।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দিবাগত রাতে সাদা পাথরের লাইন ছেড়ে দেওয়া অর্থাৎ সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে একটি চক্র নৌকাযোগে পাথর চুরি করে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখে। সেই পাথর একই রাতেই ট্রাকযোগে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাদা পাথর চুরি করতে এর আগে বিজিবি, আরএনবি ও পুলিশকে ম্যানেজ করে একটি চক্র।
প্রসঙ্গত, সরকার পরিবর্তনের পর কোম্পানীগঞ্জে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে নানা ‘অপরাধমূলক’ কর্মকাণ্ড করতে দেখা গেছে অনেককে। সম্প্রতি মইনুল ইসলাম নামের আরেক ছাত্র সমন্বয়কের নেতৃত্বে গরু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই সময় সেনাবাহিনী তাদের আটক করে। এ ছাড়াও কয়েকদিন আগে তেলিখাল এলাকায় আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা লুটকালে দক্ষিণ বুরদেও গ্রামের কামরুল নামের একজনকে আটক করা হয়। তিনিও নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দেন। বর্তমানে কামরুল কারাগারে রয়েছেন।