London ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনের বিমানবন্দরে ইসরায়েলের হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান

অনলাইন ডেস্ক

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, হামলার সময় ওই সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ডব্লিউএইচও’র প্রধান সেসময় প্লেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডব্লিউএইচওপ্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি এবং কর্মীরা একটি বিমানে উঠতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরটি বোমা হামলার শিকার হয়। আমাদের প্লেনের একজন ক্রু আহত হয়েছেন। আর বিমানবন্দরে দুজন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী সানা এখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলে তাদের পক্ষে হামলা চালানোর একদিন পরই পাল্টা এই হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানবন্দরে ছয়টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হয়েছে পাশের আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিও।

হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন ও এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। নিহতরা বেসামরিক নাগরিক নাকি হুতি বিদ্রোহী তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল হামলার দায় স্বীকার করার পর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই হামলাকে বর্বরতা বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে, ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের বিমানগুলো পশ্চিম উপকূল ও ইয়েমেনের অভ্যন্তরণে হুতি সন্ত্রাসীদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক অবকাঠামোর পাশাপাশি হেজিয়াজ ও রাস কানাতিব পাওয়ার স্টেশন এবং পশ্চিম উপকূলে আল-হুদাইদাহ, সালিফ ও রাস কানাতিব বন্দরের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কেবল হুতিদের সঙ্গে শুরু করেছি। আস্তে আস্তে ইরানের অশুভ ক্ষমতার সব বাহু কেটে ফেলবো।

হুতিদের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হুতি এই হামলাকে বর্বর ও আক্রমণাত্মক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, গাজার সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্তি আমেরিকান ও ইসরায়েলি দম্ভের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫
Translate »

ইয়েমেনের বিমানবন্দরে ইসরায়েলের হামলা, অল্পের জন্য বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান

আপডেট : ০৫:৩৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, হামলার সময় ওই সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ডব্লিউএইচও’র প্রধান সেসময় প্লেনে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডব্লিউএইচওপ্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি এবং কর্মীরা একটি বিমানে উঠতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরটি বোমা হামলার শিকার হয়। আমাদের প্লেনের একজন ক্রু আহত হয়েছেন। আর বিমানবন্দরে দুজন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী সানা এখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ইসরায়েলে তাদের পক্ষে হামলা চালানোর একদিন পরই পাল্টা এই হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানবন্দরে ছয়টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হয়েছে পাশের আল-দাইলামি বিমানঘাঁটিও।

হুতি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন ও এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। নিহতরা বেসামরিক নাগরিক নাকি হুতি বিদ্রোহী তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েল হামলার দায় স্বীকার করার পর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এই হামলাকে বর্বরতা বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে, ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের বিমানগুলো পশ্চিম উপকূল ও ইয়েমেনের অভ্যন্তরণে হুতি সন্ত্রাসীদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক অবকাঠামোর পাশাপাশি হেজিয়াজ ও রাস কানাতিব পাওয়ার স্টেশন এবং পশ্চিম উপকূলে আল-হুদাইদাহ, সালিফ ও রাস কানাতিব বন্দরের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা কেবল হুতিদের সঙ্গে শুরু করেছি। আস্তে আস্তে ইরানের অশুভ ক্ষমতার সব বাহু কেটে ফেলবো।

হুতিদের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হুতি এই হামলাকে বর্বর ও আক্রমণাত্মক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, গাজার সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্তি আমেরিকান ও ইসরায়েলি দম্ভের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।